

যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত ‘দেশসেরা উদ্ভাবক’ মিজানুর রহমান আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কারাগার অভ্যন্তরে একটি কক্ষে তিনি আত্মহত্যা করেন।
মিজানুর রহমান যশোরের শার্শা উপজেলার আমতলা গ্রামের আক্কাচ আলীর ছেলে।
কারা সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের গত ২৪ জুলাই শ্যালক হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে যান মিজানুর রহমান। হত্যার ২১ বছর পর এ রায় ঘোষিত হয়। হতাশা থেকেই তিনি আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন।
এক দশক ধরে ওয়ার্কসপ মেকানিক থেকে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ আবিস্কার করে জেলায় পরিচিত পান ‘উদ্ভাবক মিজান’ নামে। তিনি বিদ্যুৎ উৎপাদন, অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র, প্রতিবন্ধীদের জন্য যানবাহন তৈরি করেছেন। পেয়েছেন দেশসেরা উদ্ভাবকের পুরস্কারও।
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে কার্পেট চালির দরজা ভেঙে প্রবেশ করেন তিনি। সেখানে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরে কর্তব্যরত কারারক্ষীরা বিষয়টি টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা নেন। কিন্তু ততক্ষণে তিনি মারা যান।
এ বিষয়ে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার আবিদ আহমেদ জানান, চলতি বছরের ২৪ জুলাই একটি হত্যা মামলায় তিনি কারাগারে আসেন। তিনি মূলত কপোতাক্ষ-৩ ভবনে থাকতেন। কিন্তু কৌশলে তিনি কার্পেট চালির দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে যান। সেখানেই এ ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি তার পরিবারকে জানানো হয়েছে। তারা আসলে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
মন্তব্য করুন