

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গুলিবিদ্ধ আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির অর্গান কাজ করছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপির) যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি।
আশা করি আর অপারেশন করা লাগবে না উল্লেখ করে ঢাকা-৯ আসনের প্রার্থী ডা. তাসনিম জারা বলেন, একটা অপারেশন হয়েছে। হাসপাতালের বোর্ড বিস্তারিত জানাবেন। উনি নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন, অবস্থা সংকটাপন্ন। এ সময় তিনি কাউকে হাসপাতালে ভীড় না করার আহ্বানও জানান। আজকের ঘটনায় প্রশাসনকে দায়ভার নিতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, জুলাইয়ের যারা সম্মুখ সারিতে ছিলেন, তাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। এটাও প্রশাসনের ব্যর্থতা। তাদেরকেই এর জাববদিহিতা করতে হবে। আমাদের প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছে।
শুক্রবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে বিজয়নগর পানির ট্যাংকির সামনে হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। পরে পরিবারের ইচ্ছায় তাকে স্থানান্তর করা হয় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে।
এদিকে গুলিতে ওসমান হাদির গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
একই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দ্রুত ও ব্যাপক তদন্ত চালিয়ে হামলায় জড়িত সবাইকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদকালে অন্যতম উদ্বেগজনক ঘটনা। এই হামলা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রার উপর সুপরিকল্পিত আঘাত। এর মাধ্যমে পরাজিত শক্তি দেশের অস্তিত্বকে চ্যালেঞ্জ করার দুঃসাহস দেখিয়েছে।’
এর আগে হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় একটি স্ট্যাটাস দেন ডা. তাসনিম জারা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের পেজে এ স্ট্যাটাসে তাসনিম জারা লিখেন, ওসমান হাদী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এই মুহূর্তে সবকিছুর আগে একটাই কামনা, তিনি বেঁচে থাকুন এবং দ্রুত ও নিরাপদ চিকিৎসা পান।
তিনি উল্লেখ করেন, কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, সে বিষয়ে এখনো কোনো নিশ্চিত তথ্য নেই। তাই অনুমান বা রাজনৈতিক দোষারোপে যাওয়ার আগে সংযত থাকা জরুরি। তবে রাষ্ট্রের হাতে সময় নেই। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করতে হবে। গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জনগণকে নিয়মিত ও স্পষ্টভাবে জানাতে হবে। তদন্তের নামে গড়িমসি বা বিষয়টি ঝুলিয়ে রাখার কোনো সুযোগ নেই।
মন্তব্য করুন