

মনোনয়নপত্র সংগ্রহ শেষে বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু সাংবাদিকদের বলেছেন, আমার ওপর বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আমার অভিভাবক দেশনায়ক তারেক রহমান যে গুরুদায়িত্ব দিয়েছেন তা পালনে আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইল জেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, আচরণবিধি মেনেই আমরা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছি। টাঙ্গাইলের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে এলাকার উন্নয়নে কাজ করতে চাই। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, কিশোর গ্যাং ও মাদকমুক্ত একটি নিরাপদ টাঙ্গাইল গড়ে তুলতে চাই ইনশাআল্লাহ।
তিনি বলেন,সকলকে সঙ্গে নিয়ে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির মাধ্যমে আগামীর পথচলা নিশ্চিত করতে চাই। এ জন্য তিনি সবার দোয়া কামনা করেন।
জানা গেছে, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইলের দুটি গুরুত্বপূর্ণ আসনে বিএনপির মনোনীত দুই প্রার্থী একসঙ্গে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর–গোপালপুর) আসনে বিএনপির মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ও সাবেক মন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু এবং টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু তারা দুই ভাই মনোনয়নপত্র নেন।
এ সময় তাদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন- টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি মো. হাসানুজ্জামিল শাহীন, টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রদল ও যুবদলের সাবেক সভাপতি আহমেদুল হক শাতিল, জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সদস্য সৈয়দ শহীদুল আলম টিটো, যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক কাজী শফিকুর রহমান লিটন, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. আজগর আলী এবং জেলা যুবদলের আহ্বায়ক খন্দকার রাশেদুল আলম রাশেদ।
উল্লেখ্য, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম পিন্টু ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
২০০১ সালে তিনি শিক্ষা উপমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে ২০০৩ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে তিনি দীর্ঘ ১৭ বছর কারাভোগ করেন।
অন্যদিকে, বিএনপির মনোনয়ন পেয়ে সুলতান সালাউদ্দিন টুকু এবারই প্রথম টাঙ্গাইল-৫ আসর থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাচ্ছেন। ছাত্রদল ও যুবদলের সভাপতি হিসেবে দীর্ঘদিন নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। বর্তমানে তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। রাজনৈতিক জীবনে আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় ভূমিকার কারণে তাকে একাধিকবার মামলা ও গ্রেপ্তারের মুখোমুখি হতে হয়েছে।
মন্তব্য করুন