

দিনাজপুরের মেয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। দলের চেয়ারপারসনকে হারিয়ে শোকাহত দলীয় নেতাকর্মীরা ও দিনাজপুরের সাধারণ মানুষ।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন উপজেলা-ইউনিয়ন থেকে নেতাকর্মীরা গনেশতলা বিএনপির জেলা দলীয় কার্যালয়ে আসতে শুরু করেন।
বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। শহরজুড়ে কালো পতাকা লাগানো, কালো ব্যাজ ধারণ, দলীয় কার্যালয়সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে মাইকে কোরআন তিলাওয়াত করা হয়।
দিনাজপুর জেলা বিএনপির সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন দুলাল বলেন, আমাদের দিনাজপুরের কন্যা বিএনপি চেয়ারপারসন ছাড়া আমরা কিছুই বুঝি না। তাকে দিনাজপুর-৩ (সদর) আসনে প্রার্থী ঘোষণার পর মাত্র কয়েকদিন আগেই আমরা কয়েকজন জেলার নেতা তার সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেয়েছিলাম। তার শিশুসুলভ আচরণ আমাদের মোহিত করেছিল। আমরা দিনাজপুরের মানুষ তাকে প্রার্থী হিসেবে পেয়ে তাকে নির্বাচিত করার জন্য মুখিয়ে ছিলাম। আমদের স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে গেল। জাতির বড় প্রয়োজনীয় সময়ে তাকে হারালাম। তবে এই দেশ এই জাতি যতদিন থাকবে, মানুষ তাকে ততদিন মনে রাখবে।
দিনাজপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বখতিয়ার আহম্মেদ কচি বলেন, দিনাজপুরের মেয়ে হয়ে গৃহবধূ থেকে রাজনীতিতে এসে যখনই কোনো সংকট তৈরি হয়েছে তখনই তিনি দেশের নেতৃত্ব দিয়েছেন, এটা আমাদের জন্য গৌরবের। আমরা তাকে সম্মান করেছি। এমন নেতা আর জন্মাবে না। রাজনীতির অঙ্গনে আমরা আজ একজন অভিভাবক হারালাম। এ সময়ে তার বড় বেশি প্রয়োজন ছিল।
দিনাজপুর জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি মো. মোকাররম হোসেন বলেন, বেগম খালেদা জিয়া সুষ্ঠু ধারার রাজনীতির মাধ্যমে দেশে গণতান্ত্রিক চর্চা অব্যাহত রেখেছিলেন। তার মৃত্যুতে দেশের রাজনীতিতে যে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে, তা কখনো পূরণ হওয়ার নয়।
তিনি বলেন, দিনাজপুরে মেডিকিল কলেজ, জিয়া হার্ট ফাউন্ডেশন হাসাপাতাল ও রিচার্স সেন্টার, শিক্ষা বোর্ডসহ যত উন্নয়ন হয়েছে সব হয়েছে দেশনেত্রীর হাত ধরে। উনার যে স্বপ্নগুলো রয়ে গেছে তা বাস্তবায়ন করব।
দিনাজপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষিকা রওশনারা ছবি বলেন, তিনি যেমন দেশের জন্য গর্বের ছিলেন, তেমনি আমরাও গর্ব করে বলতাম বেগম খালেদা জিয়া বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তিনি বড় অসময়ে চলে গেলেন।
উল্লেখ্য, রোববার সকাল পৌনে ৮টায় এভারকেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। গত ১০ দিন ধরে এই হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন তিনি।
মন্তব্য করুন