কুমিল্লা নগরীতে বিক্ষোভ মিছিলে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের হামলা পূর্বপরিকল্পিত বলে অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের নেতারা।
শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) নগরীর ঠাকুরপাড়া এলাকায় শ্মশান কালী মন্দিরে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন পরিষদের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক তাপস বকশী।
এ সময় লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের পূর্বঘোষিত হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সমাবেশ ও মিছিল প্রতিহতের অংশ হিসেবে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে এই হামলা চালিয়েছে।
লিখিত বক্তব্যে চার দফা দাবি জানানো হয়। এগুলো হচ্ছে- অনতিবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করতে হবে, এমপি বাহাউদ্দিন বাহারের দেওয়া শারদীয় দুর্গাপূজাসংক্রান্ত বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে, দুর্গাপূজার আগে ও পরে ঐক্য পরিষদের নেতাদের ওপর চোরাগুপ্তা হামলা যাতে না হয় সেই ব্যবস্থা করতে হবে এবং শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিকাশ চন্দ সাহাসহ যুব ও ছাত্র ঐক্য পরিষদের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে এমপি বাহারের বক্তব্যের ইস্যুতে সংগঠনের অবস্থানের বিরোধিতা করার অভিযোগ এনে কুমিল্লা মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের দুই নেতার পদ স্থগিত করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে উদযাপন পরিষদের সভাপতি জে এল ভৌমিক ও সাধারণ সম্পাদক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে কুমিল্লা মহানগরের সভাপতি শিব প্রসাদ রায় ও সাধারণ সম্পাদক অচিন্ত্য দাস টিটুর পদ স্থগিত করার তথ্য জানানো হয়।
একই সঙ্গে কুমিল্লা মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের প্রথম সহসভাপতি অমল দত্তকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় কুমার রায় ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি শিব প্রসাদ রায় ও সাধারণ সম্পাদক অচিন্ত্য দাস টিটুকে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়েছে সংগঠনের পক্ষ থেকে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তাদের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
মিছিলে হামলা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কুমিল্লার পুলিশ সুপার মো. আব্দুল মান্নান বলেন, আমরা আহতদের বাড়িতে গিয়ে তাদের খোঁজখবর নিয়েছি। হামলার ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনাসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তায় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন