ঢাকার আশুলিয়ায় পরিত্যক্ত গলি থেকে বস্তাবন্দী অবস্থায় হুমায়রা নামের আড়াই বছরের শিশুকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার (২৪ জুন) দুপুরে উপজেলার ইগনাইট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের পাশের গলি থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। এর আগে সকালের দিকে নিখোঁজ হয় শিশুটি।
শিশু হুমায়রার মা-বাবা আশুলিয়ার জিরাবো পুকুর পাড় এলাকার বাসিন্দা।
হুমায়রার পিতা আজিজুল ইসলাম জানান, অনেক খোঁজাখুঁজির পর দুপুরের দিকে জানতে পারি তুহিন নামের এক শিক্ষক আমার মেয়েকে গলায় গামছা প্যাঁচানো ও বস্তাবন্দী অবস্থায় গলিতে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতাল পাঠিয়ে দেন। হাসপাতালে গিয়ে আমার সন্তানকে দেখতে পাই। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসি। জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসকরা তাকে ওয়ানস্টপ ইমার্জেন্সি সেন্টারে (ওসেক) ভর্তির ব্যবস্থা করেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
তিনি আরও জানান, গত ছয় মাস আগে প্রতিবেশী শাহিনুর বেগম ভাতের ফ্যান দিয়ে আমার শ্যালকের ছেলের শরীর ঝলসে দেয়। ওই ঘটনায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা খরচ হয়। পরে সুস্থ হয়ে উঠলে টাকার বিষয়ে বাসার মালিকের সঙ্গে বসে একটি সালিসি বৈঠক করা হয়। সালিশি বৈঠক বসাকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশী শাহিনুর বেগম আমার শ্যালককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এ বিষয়ে প্রতিবাদ করলে আমার সঙ্গেও কথা কাটাকাটি ও গালিগালাজ করেন। ওই ঘটনার জেরে গত ২২ তারিখে শাহিনুর বেগম আমার কন্যা শিশু সন্তানকে মেরে গুম করে ফেলার উদ্দেশ্যে এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে আমাদের ধারণা। এই বিষয়টি থানায় জানিয়েছি। এ ব্যাপারে থানায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, আশুলিয়া থেকে আসা শিশুটিকে ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন