নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২১ নভেম্বর ২০২৩, ০৬:৫৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত স্কুল, খোলা আকাশের নিচে চলছে পাঠদান

খোলা জায়গায় বেঞ্চ পেতে চলছে পাঠদান। ছবি : কালবেলা
খোলা জায়গায় বেঞ্চ পেতে চলছে পাঠদান। ছবি : কালবেলা

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ঘূর্ণিঝড় মিধিলির তাণ্ডবে বিধ্বস্ত হয়ে গেছে একটি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ফলে শিক্ষার্থীদের নিয়ে খোলা আকাশের নিচে চলছে পাঠদান। দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি ভবন নির্মাণের দাবি শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসীর।

সরজমিন জানা যায়, শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় মিধিলি।এতে বিদ্যালয়ের পাশাপাশি, পাকা ধান, ঘরবাড়ি ও অন্যান্য ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। সেদিনের ঝড়ে উড়ে যায় সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবিলী ইউনিয়নের পশ্চিম চরজুবলী গ্রামে অবস্থিত আবদুল মালেক উকিল বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এরপর থেকে খোলা আকাশের নিচে শিক্ষার্থীদের তাদের ক্লাস চলছে। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটছে। শিক্ষাবর্ষের শেষ সময়ে বার্ষিক পরীক্ষা কার্যক্রমও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

আব্দুল মালেক উকিল বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পারভিন আক্তার বলে, ‘শুক্রবার মিধিলির ঝড় আর বাতাসে আমাদের ধানের জমি ও বাড়ি-ঘরের ব্যাপক ক্ষতি হইছে। সকালে গিয়ে দেখি স্কুলটাও নেই। ঝড়ে আমাদের স্কুল উড়ে গেছে। এখন খোলা মাঠে ক্লাস করছি। সামনে আমাদের পরীক্ষা আছে।’

ফাতেমা নামের আরেক শিক্ষার্থী বলে, ‘সামনে আমাদের বার্ষিক পরীক্ষা। খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করতে অসুবিধা হচ্ছে। রোদ আর গরমে বসে থাকা যায় না। আমাদের একটা স্থায়ী ভবন চাই।’

অভিভাবক ফারুক বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে পুরো স্কুলটি লন্ভডন্ড হয়ে গেছে। কয়েক দিনের মধ্যে বার্ষিক পরীক্ষা। তাই এখন শিক্ষার্থীদের খোলা আকাশের নিচে লেখাপড়া করতে হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছি বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখার জন্য।’

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. পারভেজ বলেন, ‘এই চরাঞ্চলের শিক্ষার মান বৃদ্ধির জন্য ২০০৯ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। আমাদের বিদ্যালয়ে প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। ঝড়ে পুরো বিদ্যালয় উড়ে যাওয়ায় খোলা আকাশের নিচে অনিরাপদ পাঠদান চলছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে সহযোগিতা চেয়েছি। যেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ভালোভাবে পাঠদানে অংশ নিতে পারে।’

বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাহার উদ্দিন খেলন বলেন, ‘আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছি বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখার জন্য এবং শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে ভবন নির্মাণ করার জন্য। সেই সঙ্গে বিদ্যালয়টি জাতীয়করণেরও দাবি জানাই।’

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আল আমিন সরকার বলেন, ‘শিক্ষা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিষয়টি দেখা হবে।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

যোগ্য প্রার্থী নিয়োগের দাবি ইসলামী ব্যাংক গ্রাহক ফোরামের

৬ দফা দাবিতে স্বাস্থ্য সহকারীদের কর্মবিরতি

উন্নয়নমূলক কাজে প্রতিযোগিতার আহ্বান সারজিসের

সিলেটে ১ মাসে সড়কে প্রাণ গেছে ৩৫ জনের

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির জন্য গণভোটে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য: জামায়াত

আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় মাতমো

নতুন পে স্কেলে কত হচ্ছে সরকারি কর্মচারীদের বেতন

কাঠবোঝাই ট্রলি উল্টে হেলপার নিহত

ট্রাম্পের পরিকল্পনায় হামাসের সম্মতি, স্বাগত জানাল ৮ মুসলিম দেশ

বালুর ট্রাক ছিনিয়ে নিতে পুলিশের ওপর হামলা, আহত ৫

১০

অহেতুক সাংবিধানিক বিতর্ক তুলে বারবার জটিলতা তৈরি করা হচ্ছে : এবি পার্টি

১১

গাইবান্ধায় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

১২

কাগজের কাপে চা-কফি খাচ্ছেন? পিছু নিতে পারে ভয়াবহ যেসব রোগব্যাধি

১৩

‘কোরআন অবমাননা’ / সেই অপূর্বর বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নিল নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়

১৪

ভারতে ছোট পোশাক পরায় মডেলদের শাসাল হিন্দু সংগঠন

১৫

বিসিবি নির্বাচন ঘিরে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ, যা বললেন বুলবুল

১৬

স্ত্রী-শাশুড়িকে কুপিয়ে জখম, ধানক্ষেতে পড়ে ছিল যুবকের নিথর দেহ

১৭

বিসিটিআইয়ের স্বল্পমেয়াদি কোর্সের সনদ পেলেন ৬০ প্রশিক্ষণার্থী

১৮

কয়েক মিনিটের ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়, বিধ্বস্ত একাধিক গ্রাম

১৯

রুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা ৩ জানুয়ারি

২০
X