ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে দিনাজপুর। এতে শীতের অনুভূতি আরও বেড়েছে। মহাসড়কে বাতি জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। কমে গেছে গতি। ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্ন আয়ের দিনমজুর শ্রেণির মানুষ। স্বাভাবিক কাজে বিঘ্ন হওয়ায় কমে গেছে তাদের আয়। মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) দিনাজপুরের তাপমাত্র রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ৯৯ শতাংশ।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবহাওয়া সহকারী আসাদুজ্জামান জানান, জেলায় একটু একটু করে শীত বাড়ছে। তবে শীত এসে গেছে। দিনাজপুরে আজ ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা গতকাল ছিল ১৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে প্রচুর কুয়াশা পড়ছে। একটু দূরে কোনো কিছু ঠিকমতো দেখা যাচ্ছে না।
এদিকে কুয়াশা বেশি পড়ার কারণে আগাম বোপন করা বীজতলা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বোরো চাষিরা। তাদের বীজতলায় চারাগুলো বেশি শীত পড়লে বিবর্ণ হয়ে যাবে এবং বাড়বে ধীরে।
ভবানী শাহার দিঘি এলাকার কৃষক আজমল হোসেন বলেন, প্রায় ১৫ দিন আগে বোরো বীজ বোপন করেছি। চারা গুজিয়ে সবুজ বর্ণ ধারণ করেছে। শীত কম থাকলে চারা দ্রুত বড় হয়। এখন শীত ও কুয়াশার কারণে কিছুটা হলেও চারা বড় হতে সমস্যা হবে।
অপরদিকে গত দুই দিনের ন্যায় আজও মহাসড়ক ও সড়কগুলোতে যানবাহন চলেছে বাতি জ্বালিয়ে। সড়কে কমে গেছে মানুষের উপস্থিতি।মো. খান নামে এক মুরগি ব্যবসায়ী বলেন, অন্যান্য দিন সকালেই মানুষ বাজারে আসে। কিন্তু আজকে সকাল ৯টার পর কিছু কিছু মানুষ বাজারে এসেছিল।
মাছ ব্যবসায়ী আলমগীর বলেন, শীতের কারণে মাছ বিক্রি কমে গেছে। কারণ শীতে মাছ রান্না ও প্রস্তুত করতে কষ্ট হয়। তাই অনেকেই শীতের সকালে মাছ কিনতে চান না।
মন্তব্য করুন