দুই দিনের হাড় কাঁপানো শীতে স্থবির লালমনিরহাটের জনজীবন। দিনে-রাতে প্রায় সমান তালে কুয়াশার সাথে হিমেল হাওয়ায় কাহিল এ জনপদের মানুষ। দীর্ঘ হচ্ছে শৈত্যপ্রবাহ। শীতে কৃষিনির্ভর তিস্তা ও ধরলা চরাঞ্চলের মানুষ পড়েছে বিপাকে। প্রচণ্ড শীতেও শ্রমজীবী ও নিম্নআয়ের মানুষজন বের হচ্ছেন জীবিকার সন্ধানে।
এদিকে হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় জেলার পাটগ্রাম উপজেলায় বেশি শীত অনুভব হচ্ছে। জেলায় গত দুই দিন থেকে সূর্যের দেখা মিলছে না।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা আগেরদিন মঙ্গলবার ছিল ১২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে জেলার সর্বত্রই রাতে ও দিনে প্রায় সমান ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। অভাবী মানুষজন প্রয়োজনীয় গরম কাপড়ের অভাবে কষ্ট পাচ্ছে। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন গ্রামাঞ্চলের মানুষ। প্রচণ্ড শীতে বয়োবৃদ্ধ ও শিশুরা ডায়রিয়া এবং শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছেন হাসপাতালে।
কুড়িগ্রাম রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানিয়েছে, এরূপ তাপমাত্রা আরও কয়েকদিন থাকতে পারে। সেই সাথে দীর্ঘ হতে পারে শৈত্যপ্রবাহ।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্ল্যাহ বলেন, শীতার্ত মানুষের জন্য বরাদ্দকৃত ২৪ হাজার কম্বল জেলার ৫ উপজেলার তিস্তা ও ধরলা চরসহ বিভিন্ন এলাকায় বিতরণ কার্যক্রম চলছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৫ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন