ঝিকরগাছা (যশোর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০৫:১৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

লোকসানের আশঙ্কায় গদখালীর ফুলচাষিরা

কয়েকদিনের ঘন কুয়াশায় গোলাপ ও গাঁদা ফুলগাছের ফুল ও ডগা পচে যাচ্ছে, ঝরে যাচ্ছে পাতাও। ছবি : কালবেলা
কয়েকদিনের ঘন কুয়াশায় গোলাপ ও গাঁদা ফুলগাছের ফুল ও ডগা পচে যাচ্ছে, ঝরে যাচ্ছে পাতাও। ছবি : কালবেলা

যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার ফুলের রাজধানী খ্যাত গদখালীতে চলমান শৈতপ্রবাহ, ঘনকুয়াশা ও বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন ফুলচাষিরা।

গদখালী, নাভারন ও পানিসারা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় দুইশ বিঘা জমির গোলাপ পুরোটাই নষ্ট হয়ে গেছে, আরও বেশকিছু জমি আক্রান্ত হয়েছে। কয়েকদিনের কুয়াশায় অধিকাংশ গোলাপ ও গাঁদা ক্ষেতের ফুল নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া শীতে অসুবিধা না হলেও কয়েকদিনের ঘনকুয়াশায় গোলাপ ও গাঁদা গাছের ফুল এবং ডগা পচে যাচ্ছে, ঝরে যাচ্ছে পাতাও। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে পানিসারা ইউনিয়নের টাওরা গ্রামের ফুলচাষিরা।

উপজেলার টাওরা গ্রামের ফুলচাষি মোহর বলেন, মাঝে যে বৃষ্টি হয়েছিল মূলত তারপর থেকেই গোলাপ গাছে রোগ দেখা দিয়েছে। শীতে ফুল চাষের তেমন ক্ষতি হয় না। কিন্তু কুয়াশার কারণে ফুল নষ্ট হচ্ছে।

সোহাগ হোসেন নামে আরেক চাষি বলেন, আমার ১ বিঘা জমির গোলাপ নষ্ট হয়ে গেছে। কোনো কীটনাশকে কাজ হচ্ছে না। মনে হচ্ছে ফুলেও করোনা ভাইরাস লেগেছে।

তিনি আরও বলেন, চাষিদের জন্য ১৪ ফেব্রুয়ারি ও ২১ ফেব্রুয়ারি ফুল বেচাকেনার প্রধান দুটি দিন। এ বছর মনে হয় না চাষিরা লাভবান হবে। কারণ কম-বেশি সবারই ফুলে পচন ধরেছে।

ফুলচাষি কামারুল ইসলাম বলেন, গোলাপ ফুলই আমার একমাত্র আয়ের উৎস, আমাদের ফুল বেচাকেনার প্রধান উৎসব হচ্ছে ভালোবাসা দিবস। ফুল পচে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এবার দাম বাড়তে পারে।

পানিসারা গ্রামের ফুলচাষি ও ফুল ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন বলেন, ফুলচাষে শীতের সময় সাধরণত তেমন কোনো সমস্যা দেখা যায় না। কয়েকদিনের ঘনকুয়াশায় অনেক চাষির গোলাপ গাছের পাতা ঝরে যাচ্ছে। কুয়াশার কারণে সব ধরনের ফুলক্ষেতে ভাইরাস লেগেছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে আগামী ফেব্রুয়ারিতে ফুলের সংকট দেখা দিতে পারে।

গদখালী ফুলচাষি ও ফুল ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি এবং বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির সভাপতি আব্দুর রহিম বলেন, অতিরিক্ত শীত ও কুয়াশার কারণে সব ধরনের ফুল ফোটা কম দেখা যাচ্ছে। এছাড়া ফুলে স্পট দেখা দিয়েছে। এভাবে বেশিদিন চলতে থাকলে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে ফুলের উৎপাদন কম হবে। ফলে বাজারে প্রভাব ফেলার সম্ভাবনা অনেক বেশি। দামও বৃদ্ধির সম্ভাবনা বেশি। টাওরা, নীলকণ্ঠ নগর গ্রামের উপসহকারী কৃষি অফিসার অর্ধেন্দু পাড়ের কাছে সরেজমিনে এসে ফুলের ক্ষেত দেখে পরামর্শ দেওয়ার অনুরোধ করা হলেও তিনি আসেন নাই। চাষিদের অভিযোগ উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সময়মতো কোনো পরামর্শ প্রদান করেন না। চাষিদের একটাই চাওয়া সরকারিভাবে ফুলচাষিদের সুবিধা-অসুবিধাগুলো পর্যবেক্ষণ করা। চাষিরা যেন ক্ষতির সম্মুখীন না হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কপোতাক্ষের পাড় কেটে মাটি উত্তোলন, ৪ জনের কারাদণ্ড 

নতুন কুঁড়ির সেরা দশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে স্বাধিকা

টানা ৩০ দিন প্রতি রাতে গুড় ভেজানো পানি খেলে কী হয়?

সরকারের সঙ্গে যুক্ত অনেকেই নির্বাচন করবেন : আসিফ মাহমুদ

রুশ যুদ্ধবিমানকে ধাওয়া করছে ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র, ভিডিও ভাইরাল

কুবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি কালবেলার আবু শামা

ভারতে নতুন আতঙ্ক, বাঁচতে অদ্ভুত কাণ্ড

নির্বাচনের আগে হাজার হাজার মানুষকে ক্ষমা জান্তার

ট্র্যাভিস জীবনের সবচেয়ে বড় চমক : টেইলর সুইফট

শুক্রবার গ্যাসের স্বল্পচাপ থাকবে যেসব এলাকায়

১০

সুযোগ এসেছে ৫৪ বছর পর হাতে হাত ধরার : ধর্ম উপদেষ্টা

১১

বৃহস্পতিবারের ভূকম্পন ‘আফটারশক’

১২

আইরিশদের বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে টাইগাররা, দেখে নিন একাদশ

১৩

ভারত থেকে কত পারিশ্রমিক নিলেন জেনিফার লোপেজ

১৪

বরগুনায় যত্রতত্র পেট্রোল বিক্রি, হুমকির মুখে জননিরাপত্তা 

১৫

প্রেমের সম্পর্ক করে নগ্ন ভিডিও ধারণ, অতঃপর...

১৬

আইসিসিবিতে চলছে সিরামিক এক্সপো বাংলাদেশ, প্যাভিলিয়নে চমক ‘স্পিরিট অব লাইট’

১৭

এক দিনে ডেঙ্গুতে ৭ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৫৬৭

১৮

জামায়াত নেতা রেজাউল করিমের বক্তব্যে এ্যানির হুঁশিয়ারি

১৯

শেখ হাসিনার পক্ষে লড়ার সিদ্ধান্ত পাল্টালেন আইনজীবী পান্না

২০
X