রাজশাহীতে ‘মেসার্স নাজমুল ড্রাগস অ্যান্ড সার্জিক্যাল’ ওষুধের দোকানে অভিযান চালিয়ে সরকারি ওষুধ উদ্ধার করেছে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। সরকারি হাসপাতালের ওষুধ বিক্রির দায়ে দোকানের মালিক আব্দুল কুদ্দুস মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মো. জামিরুল ইসলাম।
পুলিশ জানায়, নগরীর রাজপাড়া থানার লক্ষ্মীপুর পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পুরাতন ভবনে নিচতলায় ‘মেসার্স নাজমুল ড্রাগস অ্যান্ড সার্জিক্যাল’ নামের ওষুধের দোকানে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৮৫ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যের সরকারি চোরাই ওষুধ ও মাদকদ্রব্য প্যাথেডিন ও মরফিন ইনজেকশন এবং নগদ ১ লাখ ২৬ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, বুধবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পুরাতন ভবনের নিচতলার একটি ওষুধের দোকানে সরকারি চোরাই ওষুধ বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়াও সেখানে রেজিস্ট্রেশন বিহীন, মেয়াদ উত্তীর্ণ এবং সরকারি ওষুধ, বোতল ও লেবেল পরিবর্তন ও মোড়কজাত করে বিক্রি ও বাজারজাত করা হচ্ছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে মেসার্স নাজমুল ড্রাগস অ্যান্ড সার্জিক্যাল নামক ওষুধের দোকানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত হলে মালিক আব্দুল কুদ্দুস মিয়া (৬২) কৌশলে পালিয়ে যায়।
এ সময় তার দোকান তল্লাশি করে বিভিন্ন রকম প্রায় ৮৫ হাজার টাকা মূল্যের সরকারি চোরাই ঔষধ, মাদকদ্রব্য প্যাথেডিন ও মরফিন ইনজেকশন এবং নগদ ১ লাখ ২৬ হাজার টাকা উদ্ধার হয়। এরপর পলাতক আব্দুল কুদ্দুস মিয়াকে আটকের জন্য তার বিলসিমলার বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে ডিবি। বাড়ি তল্লাশি করে সেখানেও সরকারি চোরাই ওষুধ জব্দ করা হয়।
অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) জামিরুল ইসলাম বলেন, সরকারি ওষুধ বিক্রি ও কিছু মাদক জাতীয় দ্রব্য বিক্রির দায়ে তার বিরুদ্ধে দুইটি মামলা হয়েছে। মামলার আসামি আব্দুল কুদ্দুস মিয়া পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মন্তব্য করুন