দায়িত্বের এখতিয়ারের বাইরে গিয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত পদে নেতা নির্ধারণ, জনপ্রতিনিধিদের মীরজাফর ও কুকুর বলে গালি দেওয়া এবং মুক্তিযোদ্ধাকে রাজাকার বলে আখ্যায়িত করাসহ বিভিন্ন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে খুলনার দুপুরে খুলনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ তোলেন রূপসা উপজেলা আ.লীগ সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মো. কামাল উদ্দীন (বাদশা)।
সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়- সম্প্রতি শেষ হওয়া জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আ.লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নেওয়া নেতাকর্মীদের ওপর বর্তমানে সালাম মুর্শেদী নানাভাবে নির্যাতন করছেন। সালাম মুর্শেদী ওই নির্বাচনে আ.লীগের দলীয় মনোনয়ন নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
প্রবীণ আ.লীগ নেতা বাদশা বলেন, সম্প্রতি সালাম মুর্শেদী তার বক্তব্যে প্রকাশ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে যে সমস্ত নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেছিলেন তাদের অশ্লীল ভাষায় হুমকি দিয়েছেন। তিনি তাদের পদপদবি খেয়ে ফেলার শুধু হুমকি দেন নাই, স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষের নেতাদের সালাম দিতেও জনগণকে নিষেধ করেছেন। ক্ষমতা ও দায়িত্বের এখতিয়ারের বাইরে গিয়ে রূপসার আইচগাতী ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেছেন।
ক্ষমতাসীন দলের এ সংসদ সদস্যের প্রতি ক্ষোভ জানিয়ে বাদশা বলেন, সালাম মুর্শেদী উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মীরজাফর, কুকুর ইত্যাদি বলে গালি দিয়েছেন। এ ছাড়াও তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল উদ্দিন বাদশাকে প্রকাশ্য সভায় রাজাকার বলে আখ্যায়িত করেছেন।
রূপসার আ.লীগের নেতাকর্মীরা দুর্দিনে আছে দাবি করে তিনি বলেন, আমরা আমাদের সম্মান নিয়ে চলতে পারছি না, কথা বলতেও পারছি না। এ দেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের যে আতঙ্ক, আমরা মুজিব সৈনিক, শেখ হাসিনার ভ্যানগার্ড হয়েও তার থেকে বেশি আতঙ্কে আছি।
বিষয়টি জানতে সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মুর্শেদীর মোবাইল নম্বরে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোন রিসিভ হয়নি।
মন্তব্য করুন