ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার আবাইপুর ইউনিয়নের মিনগ্রামে রিপন হত্যার পর থেকে বন্ধ থাকা একটি দোকানে ভয়াবহ লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। ৪ মাসের বেশি সময় ধরে এটি বন্ধ ছিল। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) পুলিশের সহযোগিতায় দোকানটি খোলা হয়।
তবে দোকান থেকে প্রতিপক্ষরা প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট করেছে বলে দাবি করেছে এর মালিক নজরুল ইসলামের পরিবার।
নজরুলের ভাই রবিউল ইসলাম জানান, মিনগ্রামে তাদের বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তারা মামামারি-হানাহানির মধ্যে থাকেন না। আওয়ামী লীগ নেতা রিপন হত্যাকাণ্ডের আগে তার ভাই দোকান বন্ধ করে চলে যায়। সে হত্যাকাণ্ডে প্রতিপক্ষরা তাদের ফাঁসাতে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় তার ভাই এখন জেলে। গত ৪ মাসের বেশি সময় ধরে আমরা বাড়ি ছাড়া। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বাড়িতে এসে দেখেন তার ভাইয়ের দোকানে অন্য তালা লাগানো রয়েছে। পরে সোমবার সকালে পুলিশের সহযোগিতায় তালা ভাঙা হয়। এ সময় দোকানে থাকা গ্যাসের চুলা, সিলিন্ডার, বৈদ্যুতিক তার, রাইস কুকার, টেলিভিশন, মনিটর, সাউন্ড বক্সসহ বিভিন্ন হার্ডওয়্যার ও ইলেকট্রনিক্স দামিদামি সব মালামাল পাওয়া যায়নি।
নজরুল ইসলামের স্ত্রী জানান, তার স্বামী অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্য। তার পেনশনের সমস্ত টাকা দিয়ে তিনি এ দোকানে ব্যবসা শুরু করেন। রিপন হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর দোকান বন্ধ ছিল। এখন খুলে দেখেন মালামাল লুট হয়ে গেছে। এতে প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। তিনি এর বিচার চান।
স্থানীয়রা জানান, মিনগ্রাম বাজারে মোল্লা হার্ডওয়্যার অ্যান্ড ট্রেডার্সে সব প্রকার মালামাল পাওয়া যেত। কিন্তু এখন কোনো মালামাল নেই।
শৈলকুপা থানার ওসি শফিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, প্রায় ৫ মাস মোল্লা হার্ডওয়্যার অ্যান্ড ট্রেডাসে তালা লাগানো ছিল। পুলিশের সহযোগিতায় দোকান খোলা হয়েছে। মালিকরা দাবি করছেন অনেক মালামাল চুরি হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
গত বছর ১৬ অক্টোবর আওয়ামী লীগ নেতা রিপনকে হত্যা করে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় ৩৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও একাধিক ব্যক্তির নামে শৈলকুপা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।গ্রেপ্তার আতঙ্কে গ্রামছাড়া হয় প্রায় শতাধিক পুরুষ। বর্তমানে মোল্লা হার্ডওয়্যার অ্যান্ড ট্রেডাসের মালিক নজরুল ইসলামসহ ২১ জন হত্যা মামলায় কারাগারে রয়েছেন। বাকিরা জামিন ও পলাতক রয়েছেন।
মন্তব্য করুন