জয়পুরহাটের কালাইয়ে ভ্যানচালক আবু ছালাম হত্যা মামলায় তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৭ মে) জয়পুরহাট অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃতদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন কালাই উপজেলার আওড়া গ্রামের হারুন অর রশিদ, মোস্তাক হোসেন এবং হাফিজার রহমান। আদালত থেকে জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছেন হারুন অর রশিদ। তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন বিচারক।
ভ্যানচালক আবু ছালাম সদর উপজেলার দুর্গাদহ গ্রামের বাসিন্দা। দুর্গাদহ বাজার থেকে আবু ছালামের ভ্যান ভাড়া করে আসামিরা কালাইয়ের আওড়া গ্রামে আসে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আদালত তিন আসামির মৃত্যদণ্ড দিয়েছেন। রায় শুনে আসামি হাফিজার রহমান জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। আসামি হারুন অর রশিদ পলাতক। তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০০৫ সালের ১৩ জানুয়ারি কালাই পৌরসভার আওড়া মহল্লার কবরে অজ্ঞাত এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় কালাই থানা পুলিশের তৎকালীন ওসি মির্জা শাহজাহান বাদী হয়ে মামলা করেন। কালাই থানার এসআই আব্দুস ছাত্তার মামলাটি তদন্ত করতে গিয়ে হারুন অর রশিদকে গ্রেপ্তার করে। হারুন ও তার দুই সহযোগী ভ্যানচালক আবু ছালামকে হত্যা করে ভ্যানটি বিক্রি করে দেয় বলে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুস ছাত্তার মামলা তদন্ত শেষে ২০০৫ সালের ৯ জুলাই ৩ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার বিচারে সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আদালতের বিচারক এ রায় ঘোষণা করেন।
মন্তব্য করুন