বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’-এর প্রভাবে লক্ষ্মীপুরে কমলনগরের উপকূলীয় অঞ্চলে ৯ নম্বর মহাবিপৎসংকেত জারি করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
রোববার (২৬ মে) চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর ও উপকূলীয় এলাকায় এ মহাবিপৎসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
শনিবার মধ্যরাত থেকে ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ও হালকা বাতাস দেখা যায়। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাতাস ও বৃষ্টির পরিমাণ ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরই মধ্যে মেঘনা নদীর উপকূলীয় অঞ্চল জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। কমলনগর উপজেলার সাহেবের হাট, কালকিনি, চরফলকন ও পাটোয়ারির হাট ইউনিয়নের বেশিরভাগ এলাকা বেশি আক্রান্ত হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের ভয়াবহতা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। এ নিয়ে অনেকটা আতঙ্ক বিরাজ করছে উপকূলীয়বাসীর মধ্যে। এরই মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে শুরু করেছে উক্ত উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ। সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছে গবাদিপশুসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী।
আবহাওয়া অফিসের মতে, রোববার মধ্যরাত নাগাদ যে কোনো সময়ে উপকূলে আঘাত হানতে পারে রিমাল নামক ঘূর্ণিঝড়টি।
উত্তাল মেঘনা নদীতে সব ধরনের মাছ ধরার ট্রলার ও নৌকা নিরাপদে থাকার জন্য উপজেলা প্রশাসন এবং সিপিপির পক্ষ থেকে বারবার মাইকিংয়ের মাধ্যমে সতর্ক করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুচিত্র রঞ্জন দাস বলেন, ৯ নম্বর মহাবিপৎসংকেত জারি করা হয়েছে। এতে লোকজনকে আতঙ্কিত না হয়ে দুর্যোগ প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রের জন্য শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করে রেখেছি। সিপিপির স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে প্রচার জোরদার করা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে কন্ট্রোল রুম খোলা রাখাসহ সবদিক থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আবু তাহের জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কন্ট্রোল রুমসহ মোট ১০টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যে কোনো ধরনের জরুরি সেবা প্রদানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সর্বোচ্চ প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
মন্তব্য করুন