কুমিল্লায় আধিপত্য বিস্তার এবং পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বিএনপির দুপক্ষের মধ্যে হামলা, সংঘর্ষ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় ৮ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১৬ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার (৩ জুন) বিকেলে কোতোয়ালি মডেল থানায় গোলাগুলির ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন নগরীর চম্পকনগর এলাকার বাসিন্দা কবির হোসেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামি হলেন- কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুবদলের সদস্য সচিব ও কুমিল্লা নগরীর রানীর দীঘির উত্তরপাড়া এলাকার অহিদুল আলমের ছেলে ফরিদ উদ্দিন শিবলু (৩৮), মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও তেলিয়া পুকুরপাড় ড্রাইভার বাড়ি এলাকার মৃত কাসেম মিয়ার ছেলে মো. ছোটন (৪০), কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও উত্তর চর্থা এলাকার মৃত নাজির মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম রনি (৪২), ঠাকুরপাড়া এলাকার মৃত ইঞ্জিনিয়ার হায়দার আলীর ছেলে রেজোয়ান (৩৭), মুরাদপুর এলাকার আবু মিয়ার ছেলে নয়ন (৩৫), দক্ষিণ চর্থা তালতলা চৌমুহনী এলাকার সাগর (৩৫), উত্তর চর্থা এলাকার জালাল মিয়ার ছেলে আজাদ (৩৬) ও উত্তর চর্থা তেলিয়া পুকুরপাড় এলাকার মুরাদ (৩২)। এ ছাড়াও অজ্ঞাত ১৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।
গত রোববার (২ জুন) রাত সোয়া ১১টার দিকে নগরীর কুমিল্লা টাওয়ার হাসপাতালের সামনে যুবদলের দুপক্ষের গোলাগুলিতে গুলিবিদ্ধরা হলেন- ২২নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের আহ্বায়ক ফখরুল ইসলাম তুহিন, ছাত্রদলকর্মী সবুজ ও অন্তর দেবনাথ। তারা কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন বলে জানা যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক উদবাতুল বারী আবু ও সদস্য সচিব ইউসুফ মোল্লা টিপুর সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি ফিরোজ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার রাত সোয়া ১১টার দিকে নগরীর লাকসাম রোডের রামঘাটলা পৌর মার্কেটের সামনে একটি মাইক্রোবাস থেকে কয়েকজন যুবক ফাঁকা গুলি ছোড়েন। এরপর তারা অস্ত্রের মহড়া দিয়ে বিপরীত পাশের ভিক্টোরিয়া কলেজের গলি দিয়ে চলে যান। এ সময় দুপক্ষের সংঘর্ষে একজন গুলিবিদ্ধসহ ৩ জন আহত হন।
এ বিষয়ে জানতে কুমিল্লা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক উদবাতুল বারী আবু ও সদস্য সচিব ইউসুফ মোল্লা টিপুর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
জেলা পুলিশ সুপার আব্দুর মান্নান বলেন, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন