ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নামা পাহাড়ি ঢলে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় রেলপথের কিছু অংশে পানি উঠে গেছে। উপজেলার কুলাউড়া জংশন ও ছকাপন রেলস্টেশনের মাঝখানে রেলপথে পানি ওঠায় ওই অংশে ঘণ্টায় ১০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চালানোর নির্দেশনা দিয়েছেন রেলওয়ে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা।
সেই নিয়মেই চলছে এই রুটের ট্রেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুলাউড়া জংশন রেলস্টেশনের মাস্টার রোমান আহমদ। তবে গত দুদিন বৃষ্টি হওয়ায় রেললাইনে পানি বেড়েছে অনেকটাই।
কুলাউড়া রেলওয়ের জংশনে স্টেশনে দায়িত্বে থাকা ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী (পথ) মো. মোজাম্মেল হক জানান, কুলাউড়া-সিলেট রেলপথের কুলাউড়া জংশন স্টেশন থেকে ছকাপন রেলস্টেশনে যেতে কিছু অংশ হাওরের কাছে পড়েছে। ভারি বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলে হাওরের পানি উপচে সেখানে রেলপথ প্লাবিত হয়েছে। ওই স্থানে রেলের স্লিপারে পানি উঠে গেছে, তবে রেললাইন ভেসে রয়েছে, কিন্তু বৃষ্টি হওয়ায় পানি কিছুটা বেড়েছে।
মোজাম্মেল হক আরও জানান, স্বাভাবিকভাবে এই রেলপথে ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করে। গত বুধবার ওই স্থানে ২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চালাতে বলা হয়। পরে তারা সরেজমিন ওই স্থান পরিদর্শনে যান। পানিতে স্রোত তেমন নেই। তবে আগের চেয়ে সেখানে পানি বেড়েছে। পানি বাড়ায় গতি কমিয়ে ১০ কিলোমিটার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বন্যা প্লাবিত স্থানের দুই পাশের কুলাউড়া জংশন ও মাইজগাঁও রেলস্টেশনের মাস্টারদের এ বিষয়ে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। ওই স্থানে পাহারাদার রাখা হয়েছে। সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। অবস্থার অবনতি ঘটলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া গতি নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে ট্রেন চালকদের সতর্কতা অবলম্বনের জন্য সেখানে সাইনবোর্ড স্থাপন করা হয়েছে।
গতি কমানোর নির্দেশনা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে কুলাউড়া জংশন রেলস্টেশনের মাস্টার রোমান আহমদ বলেন, নির্দেশনা মোতাবেক সব ট্রেন চলাচল করছে। ওই রেলপথ দিয়ে প্রতিদিন সিলেট থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামগামী এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে সিলেটগামী বিভিন্ন আন্তঃনগর ও মেইল ট্রেন চলাচল করে।
মন্তব্য করুন