ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লাকে কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কনডেম সেলে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন গণঅধিকার পরিষদের (নুর) উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ। সোমবার (২৩ অক্টোবর) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ অভিযোগ করেন তিনি।
আবু হানিফ জানান, বিন ইয়ামিন মোল্লাকে কারাগারে রাখা হয়েছে কনডেম সেলে, সেখানে মূলত ফাঁসির আসামিদের রাখা হয়। আটকের পর কয়েকটি মামলায় তাকে রিমান্ডে নেয় পুলিশ, তেমন চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। ফলে সে অসুস্থ। আজকে (সোমবার) বিকেলে একটি মামলায় আদালতে তোলার সময় বিন ইয়ামিন বলে- ‘আমি যে অবস্থায় আছি, আমি হয়তো মারা যেতে পারি।’ ওই সময় পুলিশ তার মুখ চেপে ধরে, যেন কথা বলতে না পারে।
তিনি বলেন, সরকার মিথ্যা মামলায় বার বার বিন ইয়ামিনকে শ্যেন অ্যারেস্ট দেখাচ্ছে। তাকে কারাগারে যেভাবে রাখা হয়েছে, এটা স্পষ্টত চরমভাবে মানবাধিকারের লঙ্ঘন। এই সরকার আদালতকে ব্যবহার করে ভিন্নমত দমন করছে।
বিন ইয়ামিন মোল্লার আইনজীবী ও গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য অ্যাড. নুরে এরশাদ সিদ্দিকী জানান, বিগত ৩ আগস্ট হাতিরঝিল থানায় দায়েরকৃত মামলায় আজকে (সোমবার) বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ এর কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লাকে শোন অ্যারেস্টের আবেদন শুনানির জন্য সকাল ১১টায় সিএমএম কোর্টে আনা হয়। অতঃপর আদালত পুলিশের শোন অ্যারেস্টের আবেদন মঞ্জুর করেন এবং ৫ দিনের রিমান্ড শুনানির জন্য সংশ্লিষ্ট আদালতে শুনানির জন্য রাখেন।
বিন ইয়ামিন মোল্লার এই আইনজীবী জানান, সোমবার বিকেল ৪ ঘটিকায় বিন ইয়ামিন মোল্লার রিমান্ড শুনানি হয়। শুনানিতে আসামিপক্ষে বিশদ যুক্তি উপস্থাপন করা হয়। শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। শুনানিকালে উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের সহ-আইন সম্পাদক অ্যাড. হাবিবুর রহমান, অ্যাড. সোহেল রানা প্রমুখ।
উল্লেখ্য, বিন ইয়ামিন মোল্লার বিরুদ্ধে মোট ০৭টি মামলা দায়ের করা হয়। ইতোমধ্যে ০৩টি মামলায় জামিনে আছেন ছাত্রনেতা বিন ইয়ামিন মোল্লা।
মন্তব্য করুন