রাজধানীর শ্যামলীতে নিজ বাসভবনের প্রধান ফটকে স্থানীয় কিশোর গ্যাং ও সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন লেখক-নির্মাতা আল নাহিয়ানসহ আরও কয়েকজন। গত ৪ জুন রাতে এ ঘটনা ঘটে।
এরপর থানায় মামলা করলে ওইদিন রাতেই গ্রেপ্তার করা হয় কিশোর গ্যাংয়ের মূলহোতা এবং ইন্ধনদাতা আল ইমরান সৈকতকে। এরপর এ ঘটনায় জামিনে বেরিয়ে এসে আবারও ভুক্তভোগীদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ মিলেছে।
কী ঘটেছিল?
এলাকায় অপকর্ম ও যত্রতত্র অবৈধ কার্যকলাপের প্রতিবাদ করায় কিশোর গ্যাংয়ের ২০-২৫ জন সন্ত্রাসী লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আল নাহিয়ানের বাসভবনের মূল ফটক ভেঙে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করে। তৎক্ষণাৎ জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করা হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তাদের উপস্থিতিতেই হামলা করে তারা। এতে আল নাহিয়ান ছাড়াও গুরুতরভাবে আহত হন ভবনের সভাপতি গোলাম রাজ্জাক ও তার দুই পুত্র, নাহিয়ানের মা মাহবুবা বেগম ও ভাই তোহা।
সেই ঘটনায় ভবনের গোলাম রাজ্জাক শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন। ওই ঘটনায় স্থানীয় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য শান্ত, সাব্বির, মেহেদী, রকি, হৃদয়, আরিয়ান, সামিসহ আরও অন্তত ২০ জনের সংশ্লিষ্টতার খবর পাওয়া গেছে। এই গ্রুপের মূল ইন্ধনদাতা ও পরিকল্পনাকারী আল ইমরান সৈকত কয়েক বছর ধরে শ্যামলী তিন নম্বর সড়কে ত্রাসের রাজত্ব চালিয়ে আসছে। এমনকি নিজ বাসভবনের কমিটিতে জায়গা পাওয়াকে কেন্দ্র করে এরই মধ্যে একাধিকবার বহিরাগত দুষ্কৃতকারীদের নিয়ে মহড়া দেওয়া এবং অ্যাপার্টমেন্টের বাসিন্দাদের সঙ্গে অকথ্য ভাষায় হুমকি-হামলার ভীতি প্রদর্শন করা তার নিয়মিত আচরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মামলায় ৪ জুন রাতেই গ্রেপ্তার হয় সৈকত। ৬ তারিখে সে জামিনে মুক্ত হয়ে প্রায় শতাধিক লোকের বাহিনী নিয়ে এলাকায় শোডাউন চালায়।
বর্তমানে চিকিৎসাধীন আল নাহিয়ান এবং স্থানীয় বাসিন্দাগণ জান-মালের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন।
কী বলছেন আল নাহিয়ান?
‘দীর্ঘদিন ধরে আমি প্রতিবাদ করে আসছিলাম। কয়েকবার অভিযোগও জানিয়েছি। আমার ওপর তাদের আগে থেকেই ক্ষোভ ছিল। আমার নাকে সেলাই পড়েছে, হাতে ১০টা সেলাই। আমাকে বাঁচাতে গিয়ে আমার মা আহত হন। সৈকত এখনো হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।’
কী বলছে পুলিশ?
শেরেবাংলা নগর থানার ওসি (তদন্ত) মো. জাহাঙ্গীর বলেন, ‘আমাদের কাছে হুমকির বিষয়টি জানানো হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মন্তব্য করুন