ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:২৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ঢাবি শিক্ষক সমিতির কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনায় যা বলছে কর্তৃপক্ষ

ভাঙচুরের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবস্থ শিক্ষক সমিতির অফিস। ছবি : কালবেলা
ভাঙচুরের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবস্থ শিক্ষক সমিতির অফিস। ছবি : কালবেলা

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে শ্রদ্ধা নিবেদনের প্রস্তুতিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষক সমিতির কার্যালয়ে ঢুকে একদল দুর্বৃত্ত হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবস্থ শিক্ষক সমিতির অফিসে এ তাণ্ডব চালানো হয়।

হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা বর্ণনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জিনাত হুদা কালবেলাকে বলেন, ১৪ ডিসেম্বর তো শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। প্রতি বছর আমরা এদিন বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শহীদদের প্রতি শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানাই। সেই সাপেক্ষে গত ১৩ ডিসেম্বর আমাদের প্রস্তুতি নেওয়ার কথা ছিল। এদিন রাত ১০টার দিকে ২০-৩০ জন বহিরাগত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে ঢোকার চেষ্টা করে।

পাশাপাশি তিনি বলেন, ক্লাবের ভেতরে প্রবেশ করতে ফিঙারপ্রিন্ট দিয়ে দরজা খুলে ঢুকতে হয়। এজন্য তারা ক্লাব ম্যানেজারের সঙ্গে খারাপ আচরণ ও জোরজবরদস্তি করে এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে দরজা খুলে ভেতরে ঢুকে যায়। এরপর দোতলায় গিয়ে আমাদের শিক্ষক সমিতির কার্যালয়ে ঢুকে চেয়ার-টেবিলসহ সমস্ত কিছু ভেঙে তছনছ করে ফেলে। টেবিল ও ড্রয়ারসহ যেখানে যে কাগজপত্র রাখা হয়েছিল সকল কাগজপত্র বের করে ছিড়ে ফেলে। সভাপতি ও সেক্রেটারির নাম লেখার অনার বোর্ডটিও তারা নষ্ট করে ফেলে।

তিনি আরও বলেন, সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয় হলো, আমরা শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য ফুল এনে রেখেছিলাম। সেই ফুলকেও তারা রেহাই দেয়নি, পা দিয়ে পিষে ফেলেছে। এসময় ক্লাবে যারা ছিল সকলকেই গালাগাল ও হুমকি প্রদান করে এই বলে, কোনোভাবেই যেন শিক্ষক সমিতি ফুল দিতে না যায়। এই ধরনের ঘটনা আসলে পাকিস্তান আমল ও দুই সেনা শাসনামলেও ঘটেনি। শিক্ষক সমিতি কোন দলকে রিপ্রেজেন্ট করেনা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ হাজার শিক্ষককে রিপ্রেজেন্ট করে। সেই শিক্ষক সমিতির কার্যালয়ে এভাবে ভাঙচুরের চেয়ে দুঃখজনক আর কি হতে পারে?

অধ্যাপক জিনাত হুদা আরও বলেন, বিষয়টি আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও প্রক্টর মহোদয়কে জানিয়েছি এবং জড়িতদের শনাক্ত করে যেন দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় সে দাবিও জানিয়েছি। ক্লাব ম্যানেজারকেও সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণের বিষয়ে বলেছি। এখন অবধি তাদের মাধ্যমে গৃহীত কোনো পদক্ষেপ চোখে পড়েনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ কালবেলাকে বলেন, আমি যতদূর জানি, হামলাকারীদের কেউ এখনো শনাক্ত হয়নি। আর শনাক্তকরণের কাজটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব ও শিক্ষক সমিতি কর্তৃপক্ষ দেখছে। শনাক্ত হওয়ার পর দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কাজ করবে। আর এক্ষেত্রে আমরা সর্বোচ্চ সহযোগিতা করব।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার পদত্যাগ

স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার পদত্যাগ

আজ ঢাকার আবহাওয়া যেমন থাকতে পারে

আড়ং ডেইরিতে নিয়োগ, দ্রুত আবেদন করুন

২৪ নভেম্বর : ইতিহাসের এই দিনে যা ঘটেছিল

নাশতায় যেসব খাবার নীরবে বাড়াচ্ছে আপনার রক্তচাপ

২৪ নভেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি

সোমবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

বিয়ের সাজ নিতে গিয়ে দুর্ঘটনা, সিনেমা স্টাইলে হাসপাতালেই বিয়ে

নতুন যুদ্ধ কৌশল ‘হাইব্রিড যুদ্ধ’, এটা আসলে কী

১০

বাড়ি থেকে পালিয়ে প্রেমিককে বিয়ে, সেই তরুণীর রহস্যজনক মৃত্যু

১১

টটেনহ্যামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগে শীর্ষস্থান মজবুত করল আর্সেনাল

১২

যে কারণে ক্ষমা চাইলেন বাফুফে সভাপতি

১৩

গাজায় সেনা পাঠানো নিয়ে নতুন সংকটে পাকিস্তান

১৪

তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে ৬১ ক্রিকেট ব্যাট-বল বিতরণ

১৫

ভূমিকম্পে আহত হামীমের চিকিৎসার খোঁজ নিলেন ডা. কাঁকন

১৬

৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যা

১৭

খালেদা জিয়ার হাসপাতালে ভর্তির কারণ জানালেন চিকিৎসক

১৮

ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ

১৯

বিদেশিদের হাতে বন্দরের ব্যবস্থাপনা তুলে দেওয়া অদূরদর্শী সিদ্ধান্ত : লায়ন ফারুক

২০
X