রাজশাহী ব্যুরো
প্রকাশ : ২৩ মে ২০২৫, ০৪:৪৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

রাবির সেই শিক্ষক-ছাত্রীকে অব্যাহতি

অব্যাহতি দেওয়া ছাত্রী ও শিক্ষক। ছবি : কালবেলা
অব্যাহতি দেওয়া ছাত্রী ও শিক্ষক। ছবি : কালবেলা

ছাত্রী-শিক্ষক কাণ্ডে অভিযুক্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ফাইন্যান্স বিভাগের শিক্ষক ও ছাত্রীকে একাডেমিক কার্যক্রম থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ছাত্রী-শিক্ষকের ঘটনা ও চাঁদাবাজির ঘটনা অধিকতর তদন্ত করতে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩৯তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ড. মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন ও উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ড. মোহা. ফরিদ উদ্দীন খান কালবেলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

উপ-উপাচার্যরা জানান, তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক ড. এম গোলাম সাদিককে। কমিটিকে দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত অভিযুক্ত শিক্ষক ও ছাত্রী বিভাগের কোনো ধরনের একাডেমিক কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন না। এরই মধ্যে শিক্ষকের কক্ষটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।

উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন কালবেলাকে বলেন, শিক্ষক ও ছাত্রীর নৈতিক স্খলনের বিষয় এবং চাঁদাবাজির অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখবে তদন্ত কমিটি। তদন্ত রিপোর্ট আসার পর এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এর আগে, গত ১১ মে সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবনের ৩০৭ নম্বর কক্ষ থেকে ফাইন্যান্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ পাপুল এবং ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে স্নাতকোত্তরের (এমবিএ) ছাত্রী মারিয়া খাতুনকে (২৫) আপত্তিকর অবস্থায় পান কয়েকজন শিক্ষার্থী। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

গত ১৪ মে বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর গত ১৭ মে বিশ্ববিদ্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন ছাত্রী মারিয়া খাতুন। তিনি দাবি করেন, ওই দিনের ঘটনার ভিডিও প্রকাশ না করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন সাংবাদিক, সাবেক সহ-সমন্বয়ক ও একজন ছাত্র ৩ লাখ টাকা চাঁদা নিয়েছেন।

চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠা চারজন হলেন- আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী নাজমুজ সাকিব, ইতিহাস বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন সজীব, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২০-২১ সেশানের শিক্ষার্থী সিরাজুল ইসলাম সুমন ওরফে এসআই সুমন, ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) শিক্ষার্থী আতাউল্লাহ।

এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছিলেন শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন সজীব ও এসআই সুমন।

এদিকে, ঘটনাটি প্রকাশের পর থেকে ওই শিক্ষক ও ছাত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছেন বিভাগের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের একাংশ। একই সঙ্গে চাঁদাবাজির ঘটনাটি তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন তারা। এসব দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রক্টর ও বিভাগের সভাপতি বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন তারা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন, আ.লীগ নেতার মৃত্যু

কাপ্তাই হ্রদে পানির অভাব, বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিপর্যয়

ছাগলের দৌড় দেখতে হাজারো মানুষের ভিড় 

দুদকের সাবেক ৩ চেয়ারম্যানসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা

সৌদিতে ফ্ল্যাটে মিলল দুই ভাইয়ের মরদেহ, পরিবারে শোকের ছায়া

পাল্টাপাল্টি আকাশপথ নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়াল ভারত-পাকিস্তান

জাতীয় নির্বাচন দাবি করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতার পদত্যাগ

সাবেক ওসি প্রদীপের ফাঁসি কার্যকর দাবিতে প্রচার, যা জানা গেছে

দেশ নিয়ে দিল্লি ও ওয়াশিংটনের প্রেসক্রিপশনে পরিকল্পনা চলছে : জুলাই ঐক্য

ডাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপের দাবিতে অনশন, হাসপাতালে দুই

১০

সান্ডা থেকে গাধা : মানুষের তামাশায় প্রাণীরাও আজ নিরাপদ নয়!

১১

সরকারকে নিরপেক্ষ বৈশিষ্ট্য নিশ্চিত করতে হবে : সাইফুল হক

১২

রিকশাচালকের ছেলের স্বপ্নপূরণে পাশে দাঁড়ালেন তারেক রহমান

১৩

চবিতে পর্দা উঠল জাতীয় ছায়া আইনসভার

১৪

মার্কিন সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণের ছবি নিয়ে বিভ্রান্তি, যা জানা গেল

১৫

১৫ বছরে দেশের সব স্তর ভেঙে ফেলা হয়েছিল : নজরুল ইসলাম

১৬

সব দল ও পক্ষের ঐক্য ধরে রাখতে হবে: খেলাফত মজলিস

১৭

শনিবার খোলা থাকবে অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

১৮

ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রতি গুরুত্বারোপ হিন্দু নেতাদের

১৯

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চেয়েছে জামায়াত

২০
X