চলছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ। তবে শুরুর প্রথম ঘণ্টায় অধিকাংশ কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি তুলনামূলকভাবে কম ছিল।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে এমন চিত্র দেখা গেছে। নির্বাচনী কর্মকর্তারা আশা করছেন, সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি ধীরে ধীরে বাড়বে।
জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ রফিক জব্বার হল কেন্দ্রে ব্যালট পেপারে স্বাক্ষর নেওয়ার প্রক্রিয়ায় কিছুটা সময় লেগেছে। ফলে প্রথম ঘণ্টায় এখানে মাত্র ১৩ জন শিক্ষার্থী ভোট দেন। এ কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ৬৫০ জন।
কেন্দ্রের রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান ভূঞা বলেন, এখনও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। আশা করছি শেষ সময় পর্যন্ত ভোটাররা আসবেন।
শহীদ সালাম-বরকত হল কেন্দ্রে প্রথম এক ঘণ্টায় ২৩টি ভোট পড়েছে। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ২৯৯ জন। কেন্দ্রের রিটার্নিং কর্মকর্তা এস এম মওদুদ আহমেদ জানান, ভোটগ্রহণ শুরু থেকে সকাল ৯টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত মাত্র পাঁচজন ভোট দিয়েছেন। তবে তিনি আশা করছেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভোটারের সংখ্যা বাড়বে।
এদিকে এবারের জাকসু নির্বাচনে মোট ১১ হাজার ৯১৯ জন শিক্ষার্থী তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। ছাত্রদের হলের মধ্যে আল বেরুনী হলে ভোটার ২১০ জন, আ ফ ম কামালউদ্দিন হলে ৩৩৩ জন, মীর মশাররফ হোসেন হলে ৪৬৪ জন, শহীদ সালাম-বরকত হলে ২৯৮ জন, মওলানা ভাসানী হলে ৫১৪ জন, ১০ নম্বর ছাত্র হলে ৫২২ জন, শহীদ রফিক-জব্বার হলে ৬৫০ জন, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলে ৩৫০ জন, ২১ নম্বর ছাত্র হলে ৭৩৫ জন, জাতীয় কবি নজরুল হলে ৯৯২ জন এবং তাজউদ্দীন আহমদ হলে ৯৪৭ জন ভোটার রয়েছেন।
ছাত্রীদের হলের মধ্যে নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলে ২৭৯ জন, জাহানারা ইমাম হলে ৩৬৭ জন, প্রীতিলতা হলে ৩৯৬ জন, বেগম খালেদা জিয়া হলে ৪০৩ জন, সুফিয়া কামাল হলে ৪৫৬ জন, ১৩ নম্বর ছাত্রী হলে ৫১৯ জন, ১৫ নম্বর ছাত্রী হলে ৫৭১ জন, রোকেয়া হলে ৯৫৬ জন, ফজিলাতুন্নেছা হলে ৭৯৮ জন এবং তারামন বিবি হলে ৯৮৩ জন ভোটার রয়েছেন।
এবারের নির্বাচনে কেন্দ্রীয় সংসদের জাকসুর ২৫টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৭৮ প্রার্থী। নির্বাচনে বামপন্থি, শিবির, ছাত্রদল ও স্বতন্ত্রদের সমর্থিত মিলিয়ে সর্বমোট আটটি প্যানেল অংশগ্রহণ করবে। ছাত্রদের ১১টি ও ছাত্রীদের ১০টি হল মিলিয়ে মোট ২১ ভোটকেন্দ্র ঠিক করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে স্থাপন করা হয়েছে ২২৪টি বুথ।
ক্যাম্পাসে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে এদিন এক হাজার ৫০০ পুলিশ, সাত প্ল্যাটুন বিজিবি ও পাঁচ প্ল্যাটুন আনসার মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া যে কোনো অপ্রীতিকর ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা মোকাবিলায় আনসার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ক্যাম্পাসে ও ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থান করছেন।
আর্কাইভ 
| ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ 
