জবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২১ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৩৩ পিএম
আপডেট : ২১ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৩৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

জোবায়েদ হত্যায় বর্ষাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা 

মো. জোবায়েদ। ছবি : সংগৃহীত
মো. জোবায়েদ। ছবি : সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. জোবায়েদ হত্যার ঘটনায় তার ছাত্রী বার্জিস শাবনাম বর্ষা (১৯) ও তার প্রেমিক মো. মাহির রহমানসহ (১৯) তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকালে বংশাল থানায় এ মামলা দায়ের করে জোবায়েদের ভাই এনায়েত হোসেন সৈকত।

মাময়ার অন্য আসামি হলেন-ফারদীন আহম্মেদ আয়লান (২০) ও অজ্ঞাতনামা আরও ৪-৫ জন।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মো. জোবায়েদ হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি টিউশন করতেন। প্রতিদিনের মতো তিনি ১৯ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বংশাল থানাধীন ৩১নং ওয়ার্ডস্থ নুর বক্স লেন এর ১৫নং হোল্ডিং রৌশান ভিলায় বর্ষাকে পড়ানোর জন্য যান। সেদিন বিকেল ৫টা ৪৮টার মিনিটে ছাত্রী বর্ষা জোবায়েদ হোসেনের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছোট ভাই সৈকতকে ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে জানায় যে, জোবায়েদ স্যার খুন হয়ে গেছে, কে বা কারা জোবায়েদ স্যারকে খুন করে ফেলছে।

এ ঘটনার বিষয়টি একই তারিখ রাত অনুমান ৭টার সময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মো. কামরুল হাসান মামলার বাদী জোবায়েদের ভাইকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানান। সৈতক তার শ্যালক শরীফ মোহাম্মদকে সঙ্গে নিয়া মোটরসাইকেল-যোগে ওইদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঘটনাস্থল রৌশান ভিলায় পৌঁছান।

সৈকত ঘটনাস্থলে গিয়ে তার পরিচিত বড় ভাই অ্যাড. ইশতিয়াক হোসাইন জিপু আমাকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থল রৌশান ভিলা ভবনের নিচতলা থেকে ওপরে ওঠার সময় আমি ও ইশতিয়াক ভাই সিঁড়ি এবং দেয়ালে রক্তের দাগ দেখতে পান। ওই ভবনের ৩য় তলার রুমের পূর্ব পার্শ্বে সিঁড়িতে নিয়ে গেলে সিঁড়ির ওপর জোবায়েদের রক্তাক্ত মরদেহ উপুড় অবস্থায় দেখতে পান।

সুরতহাল প্রস্তুত করার সময় তার গলার ডান পাশে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন দেখতে যায়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজনের নিকট হতে জেনে এবং আশপাশ এলাকার সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজ দেখে উল্লিখিত আসামীসহ অজ্ঞাতনামা বিবাদীরা আমার ভাইকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলার ডান পাশে আঘাত করে হত্যা করেছে মর্মে নিশ্চিত হন।

বিশ্লেষণে দেখা যায়, মৃত্যুর ৪১ ঘণ্টা পর বংশাল থানা পুলিশ এই মামলা গ্রহণ করে। মামলার বাদী মামলার বাদী এনায়েত হোসেন সৈকত বলেন, আমাদের পরিবারের সব সদস্যদের সঙ্গে পরামর্শ করেই আমি বাদী হয়ে মামলা করেছি। গতকাল আমাদের মানসিক অবস্থা ভালো না থাকায় মামলা করতে একদিন দেরি হয়েছে। মামলায় যারা প্রকৃত আসামি আমরা তাদের নাম উল্লেখ করেই মামলা করেছি। আমরা চাই কোন নির্দোষ ব্যক্তি যেন ফেসে না যায়। যারা প্রকৃত অপরাধী তারাই শাস্তি পাক। মামলায় যাদের নাম উল্লেখ করেছি তাদের সবাই পুলিশ গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। এজন্য পুলিশকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা সুষ্ঠ বিচার চাই।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

৪০ শিক্ষক মিলেও পাস করাতে পারলেন না ২১ জন পরীক্ষার্থীকে

উইকেট ‘উপহার’ দিলেন শান্ত, ৩ উইকেট হারাল বাংলাদেশ

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্থান পেয়েছে স্বর্ণের ‘দুবাই ড্রেস’ 

পর্তুগাল দলে ডাক পেলেন রোনালদোর ছেলে

তাপমাত্রা নিয়ে নতুন বার্তা দিল আবহাওয়া অফিস

‘শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলতে চান না, এমন উপদেষ্টা দরকার নেই’

ল্যাপটপের ব্যাটারি দ্রুত খারাপ হয় যে ৬ ভুলে

আবু ত্ব-হা ও সাবিকুন নাহার দ্বন্দ্ব, সর্বশেষ যা জানা গেল

নতুন গানে মিলন

সহজ ঘরোয়া ভ্যানিলা স্পঞ্জ কেক রেসিপি

১০

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে কিছুটা অসামঞ্জস্য দেখা দিতে পারে : শামীম সাঈদী

১১

তেলাপোকা মারতে গিয়ে পুরো অ্যাপার্টমেন্টে লেগে গেল আগুন

১২

বর্ষার কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়েও শেষ রক্ষা হয়নি জোবায়েদের

১৩

এয়ারপোর্টের আগুন ফ্যাসিস্ট হাসিনার নাশকতার অংশ : আমান

১৪

নেইমারকে নিয়ে তীব্র সমালোচনা ব্রাজিল কিংবদন্তির

১৫

ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে তিন পরিবারের বসতঘর পুড়ে ছাই

১৬

জুবায়েদ হত্যার পেছনের কারণ জানাল পুলিশ

১৭

লোহাগাড়ায় ছাদধসে দিনমজুরের মৃত্যু

১৮

জোবায়েদকে খুনের সময় সশরীরে উপস্থিত ছিলেন বর্ষা : পুলিশ

১৯

ইংরেজিতে সাবলীল কথা বলার ৭ বাধা ও সমাধান

২০
X