কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৩৩ এএম
আপডেট : ২১ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৩৫ এএম
অনলাইন সংস্করণ

এক মাস আগেই জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করেন বর্ষা

জোবায়েদ হোসাইন। ছবি : সংগৃহীত
জোবায়েদ হোসাইন। ছবি : সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসাইনের হত্যার নেপথ্যে ছিলেন ছাত্রী বর্ষা ও মাহীর রহমান। বর্ষার পরিকল্পনা ও প্ররোচনায় মাহীর ও তার সহযোগীরা এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়।

২৫ সেপ্টেম্বর থেকেই এ হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। ঘটনার দিন মাহীরের সঙ্গে তার আরও দুই বন্ধু ছিল। হত্যার জন্য তারা নতুন দুটি সুইচগিয়ার ছুরি কিনে আনে। পরে বর্ষার নির্দেশে মাহীর জোবায়েদের ওপর এলোপাতাড়ি ছুরি চালায়।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকালে বংশাল থানার ওসি রফিকুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, এটা বর্ষা ও মাহীরের পরিকল্পিত হত্যা। বর্ষার সঙ্গে মাহীরের ৯ বছরের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু মাঝে আবার বর্ষা জোবায়েদের ওপর দুর্বল হয়ে পড়ে। এ সময় বর্ষা মাহীরকে না করে দেয়। এবং সে জোবায়েদেকে পছন্দ করে বলে জানায়। কিন্তু কিছুদিন পরেই তার বয়ফ্রেন্ড মাহীরকে জানায় যে জোবায়েদকে আর ভালো লাগে না। তখন জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করেন বর্ষা ও মাহীর।

ওসি বলেন, প্রাথমিকভাবে জোবায়েদকে হত্যার এই পরিকল্পনার কথা স্বীকার করেনি বর্ষা। পরে মাহীর ও বর্ষাকে মুখোমুখি করলে সকল সত্যতা জানা যায়। জোবায়েদকে কীভাবে সরিয়ে দেওয়া যায় গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকেই পরিকল্পনা করেন তারা। এখন পর্যন্ত বর্ষাসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। মামলার শেষ প্রস্তুতি চলছে।

জোবায়েদ হোসাইন ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী। পাশাপাশি তিনি কুমিল্লা জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সভাপতি এবং শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

গত এক বছর ধরে তিনি পুরান ঢাকার আরমানিটোলার ১৫, নূরবক্স লেনের রওশান ভিলা নামের একটি বাসায় বর্ষা নামের এক ছাত্রীকে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও জীববিজ্ঞান পড়াতেন। ওই ছাত্রী বর্ষার বাবার নাম গিয়াসউদ্দিন।

গত রোববার বিকেল আনুমানিক ৪টা ৪৫ মিনিটের দিকে ছাত্রীর বাসার তৃতীয় তলায় উঠতে গিয়ে সিঁড়িতেই খুন হন জোবায়েদ। বাসার নিচতলা থেকে তৃতীয় তলা পর্যন্ত সিঁড়িতে রক্ত ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল, আর তৃতীয় তলার সিঁড়িতে উপুড় হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায় তার মরদেহ।

পরে আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে বংশাল থানার সামনে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে তারা তাঁতীবাজার মোড় অবরোধ করে রাখেন। ওইদিন রাত ১১টার দিকে পুলিশ ওই ছাত্রী বর্ষাকে হেফাজতে নেয়। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর আরমানিটোলার নূরবক্স লেনের নিজ বাসা থেকে পুলিশ প্রটোকলে তাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরদিন জোবায়েদ হোসাইনের মরদেহ তার গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নতুন গানে মিলন

সহজ ঘরোয়া ভ্যানিলা স্পঞ্জ কেক রেসিপি

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে কিছুটা অসামঞ্জস্য দেখা দিতে পারে : শামীম সাঈদী

তেলাপোকা মারতে গিয়ে পুরো অ্যাপার্টমেন্টে লেগে গেল আগুন

বর্ষার কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়েও শেষ রক্ষা হয়নি জোবায়েদের

এয়ারপোর্টের আগুন ফ্যাসিস্ট হাসিনার নাশকতার অংশ : আমান

নেইমারকে নিয়ে তীব্র সমালোচনা ব্রাজিল কিংবদন্তির

ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে তিন পরিবারের বসতঘর পুড়ে ছাই

জুবায়েদ হত্যার পেছনের কারণ জানাল পুলিশ

লোহাগাড়ায় ছাদধসে দিনমজুরের মৃত্যু

১০

জোবায়েদকে খুনের সময় সশরীরে উপস্থিত ছিলেন বর্ষা : পুলিশ

১১

ইংরেজিতে সাবলীল কথা বলার ৭ বাধা ও সমাধান

১২

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সন্ধ্যায় সাক্ষাৎ করবে বিএনপির প্রতিনিধিদল

১৩

আন্দোলন প্রত্যাহার করলেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা

১৪

আইআরআইয়ের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি

১৫

প্রাণসায়ের খাল রক্ষায় যুবসমাজের কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা

১৬

টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ, দেখে নিন একাদশ

১৭

তরুণ গোলরক্ষককে হত্যা, জানা গেল কারণ

১৮

১০ টাকায় ইলিশের পর এবার ১ টাকায় গরুর মাংস বিতরণের ঘোষণা

১৯

ফেসবুক আইডি বা পেজ হঠাৎ বন্ধ হওয়ার সাধারণ কিছু কারণ

২০
X