দৈনিক কালবেলার অনলাইন সংস্করণে ৩০ সেপ্টেম্বর ‘পবিপ্রবি ছাত্রলীগ সভাপতির চাঁদা আদায়ের ভিডিও ফাঁস!’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আরাফাত ইসলাম খান সাগর। প্রতিবাদলিপিতে আরাফাত তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে প্রকাশিত সংবাদ সত্য নয় বলে দাবি করেছেন।
আরাফাত ইসলাম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন শেখ রাসেল হলের কনস্ট্রাকশন সাইড থেকে আমার নেতৃত্বে রড নিয়ে যাওয়া এবং আমির ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশনের ম্যানেজার এনামুল হোসেনকে মারধর বিষয়ে যে সংবাদ প্রকাশ করা হয় তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্রের অংশ এটি। যেদিন রাতে ঘটনা ঘটেছিল বলে উল্লেখ করা হয় সেদিন আমি ঢাকায় অবস্থান করি। যে ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে সেখানে আদৌ আমার ছবি স্পষ্ট দেখা যায়নি। আর যে ভয়েস ব্যবহার করা হয়েছে সেটি সুপার এডিটেড। যে চেহারা দেখানো হয়েছে তা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে লাগানো।’
তিনি বলেন, ‘আমির কন্সট্রাকশনের ম্যানেজার সংবাদ সম্মেলনে একবারও আমার নাম উচ্চারণ করেননি। সেখানে উল্লেখ করা গোলাম রব্বানী সুরিদ সাবেক ছাত্রলীগের সহসভাপতি বটে কিন্তু বর্তমানে তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নন এবং ইমরান হোসেনের নাম উল্লেখ করা হয়। কারও ব্যক্তিগত অপকর্মের দায় ছাত্রলীগ নেবে না।’
তিনি বলেন, ‘১৯ অক্টোবর প্রকাশিত গভীর রাতে হলে তরুণী নিয়ে ছাত্রলীগ নেতা বিষয়ে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, সাজানো ও বানোয়াট। সম্পূর্ণ ভিডিও প্রকাশ না করে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য আংশিক ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট এবং বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমি অগ্রণী ভূমিকায় অবতীর্ণ থাকায় প্রশাসনের কতিপয় জামায়াত-বিএনপিপন্থি শিক্ষক-কর্মকর্তাদের রোষানলে পড়েছি। তারা সম্মিলিতভাবে ঠিকাদারকে ব্যবহার করে আমাকে রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।’
মন্তব্য করুন