সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২
জবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৬ মে ২০২৫, ০৬:২৮ পিএম
আপডেট : ১৬ মে ২০২৫, ০৬:৫৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

সাবেক-বর্তমান জবিয়ানদের সমাগমে কাকরাইলে জনস্রোত

তৃতীয় দিনের মতো কাকরাইল মোড়ে অবস্থান করছেন জবি শিক্ষার্থীরা। ছবি : কালবেলা
তৃতীয় দিনের মতো কাকরাইল মোড়ে অবস্থান করছেন জবি শিক্ষার্থীরা। ছবি : কালবেলা

আবাসন সংকট নিরসনসহ চার দফা দাবি আদায়ে তৃতীয় দিনের মতো কাকরাইল মোড়ে অবস্থান করছেন জবি শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (১৬ মে) বিকেল থেকে অবস্থানের পাশাপাশি গণঅনশনও শুরু করেছেন তারা।

এদিন পূর্বঘোষিত জবিয়ান সমাবেশ ও গণঅনশন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে কাকরাইল মোড়ে জমায়েতস্থল কানায় কানায় পরিপূর্ণ। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থীদের মিছিলসহ সমাবেশস্থলে যোগ দিতে দেখা যায়। সকাল ১০টার পর থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে সমাবেশস্থলে যোগ দেন।

সমাবেশস্থলে সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা বক্তব্য দেন। জবি ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি শাহীন আহমেদ খান বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মৌলিক দাবি হলো হলের দাবি। আমি ১৩ বার জেল খেটেছি জবির হল আন্দোলনের মামলায়। আমরা ফাঁসির দড়িতে যেতে রাজি কিন্তু আমাদের মৌলিক দাবি মানতে হবে। আমরা ঝিমিয়ে পড়িনি। এই দাবি আদায় না হলে জবির সাবেকরা বর্তমানদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কিভাবে দাবি আদায় করতে হয় তা আমরা জানি।

সাবেক শিক্ষার্থী ও অ্যাডভোকেট মো. রনি মিয়া বলেন, এক শিক্ষার্থী অনিচ্ছাকৃতভাবে বোতল আকাশে ছুড়লে দুর্ঘটনাবশত তা গিয়ে লাগে উপদেষ্টার গায়ে। এজন্য হাজারের ওপর শিক্ষার্থীর ওপর পুলিশি হামলা বৈধ বলে প্রকাশ করেছেন। হাজার শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকের ওপর সরাসরি টিয়ার গ্যাস, লাঠিচার্জের চেয়ে ১৫ গ্রাম ওজনের একটা বোতল উপদেষ্টাদের বেশি কষ্ট দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, দাবি সংশ্লিষ্ট অন্যান্য উপদেষ্টা (শিক্ষা, অর্থ, স্বরাষ্ট্র) ঘটনাস্থলে উপস্থিত না হয়ে নির্লিপ্ততা এবং দায়িত্বে অবহেলা করেছেন। পূর্ববর্তী ফ্যাসিস্ট মতবাদ লালন না করে শিক্ষার্থীদের হৃদয়ের দাবি মেনে নিন।

আরেক সাবেক শিক্ষার্থী সহিদুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, এটা শুধু বর্তমান শিক্ষার্থীদের দাবি নয়, এটা সাবেকদেরও দাবি। এখনো সরকার কোনো বিবৃতিই দেয়নি। শিক্ষকদের যেভাবে মেরেছে তাতেও সরকারের টনক নড়েনি। এটা চরম অন্যায়। গণঅভ্যুত্থানের অন্য নেতারা শিক্ষার্থীদের পাশে না থেকে সরকারের দালালি করছে। দাবি আদায় না করে জবিয়ানরা ঘরে ফিরবে না।

শিক্ষার্থীদের ৪ দফা দাবি হলো- আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে শিক্ষাবৃত্তি। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করেই অনুমোদন। বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পাঠ্যপুস্তক ছাপার দায়িত্ব হস্তান্তর ‘মাথাব্যথায় মাথা কাটার মতো সিদ্ধান্ত’ : টিআইবি

বিশ্বকাপে ইতিহাস গড়ে ভারতকে হারাল অস্ট্রেলিয়া

মৌসুমি বায়ুসহ আগামী ৪ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস

চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা

এবার উপদেষ্টাদের নিয়ে মুখ খুললেন সামান্তা শারমিন

ঢাকায় আসছেন জাকির নায়েক

ছক্কা মেরে ইতিহাস গড়লেন স্মৃতি মান্ধানা!

উপদেষ্টা রিজওয়ানাকে এনসিপি নেতার হুঁশিয়ারি

একটি দল ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায় : কফিল উদ্দিন 

চাকসু নির্বাচনে নতুন প্রত্যয়ে ছাত্রদল

১০

বন্দর ব্যবসায়ী নেতারা / মাশুল বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত চট্টগ্রাম বন্দর বন্ধের ষড়যন্ত্রের অংশ

১১

ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি নিয়ে ৬ হাজারের বেশি মতামত পেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়

১২

জুলাইয়ের গাদ্দারদের সব রেকর্ড প্রকাশ করা হবে : মুনতাসির

১৩

যে ছয় ফিলিস্তিনি বন্দিকে ছাড়তে রাজি নয় ইসরায়েল

১৪

ময়মনসিংহে পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার

১৫

ধানের শীষের বিজয় মানেই জনগণের মুক্তি : গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

১৬

রোমে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা

১৭

বাবর আজমকে নিয়ে ধারাভাষ্যে রমিজ রাজার তির্যক মন্তব্য

১৮

‘সঠিক ও মানসম্পন্ন সংবাদ উপস্থাপনে সাংবাদিকদের আরও দায়িত্বশীল হতে হবে’

১৯

আন্দরকিল্লা মসজিদ আইকনিক করতে ব্যয় ৩০০ কোটি

২০
X