জুলাই গণঅভ্যুত্থানসহ এই অঞ্চলের জনগণের শত বছরের সংগ্রামকে স্মরণীয় করার জন্য রাজধানীর বিজয় সরণীতে নির্মিত হবে গণমিনার।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বিকেল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছেন গণমিনার বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজম বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে দল-মত নির্বিশেষে সবাই একটা কমন পাটাতন তৈরি করে। এখানে সবাই একটা নতুন বাংলাদেশের আশায় একত্র হয়েছিল। এই জুলাইকে স্মরণীয় করার জন্যই এই গণমিনার নির্মাণ।
প্রস্তাবিত গণমিনারের রূপকল্প সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলনে স্লাইড প্রদর্শন করেন চলচ্চিত্র নির্মাতা ও স্থপতি কামার আহমদ সাইমন। এছাড়াও অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক এহসান মাহমুদ, ঢাবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সামিনা লুৎফা, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক খোরশেদ আলম, ভাববৈঠকির প্রধান সমন্বয়ক ও লেখক মোহাম্মদ রোমেল প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গণমিনারের স্থান হিসেবে বীর উত্তম মেজর জেনাবেল আজিজুর রহমান রোড (পুরাতন বিমানবন্দরের পার্শ্ববর্তী লিঙ্ক রোড) ও বিজয় সরণির মধ্যবর্তী সবুজ চত্বরকে নির্বাচন করা হয়েছে। এছাড়াও, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন উক্ত জমি বরাদ্দ, অর্থ ও প্রকৌশল সহযোগিতার বিষয়ে সম্মত হয়েছে।
পাশাপাশি, প্রস্তাবিত গণমিনারে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে জাতিসংঘ স্বীকৃত ১৪০০ শহীদের নাম ও পরিচিতি খোদাই করে সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এছাড়াও এই ভূখণ্ডে গত ২৫০ বছরের প্রতিরোধ ও লড়াইয়ের ইতিহাস চিত্র ও খোদাইয়ের মাধ্যমে গণমিনারে তুলে ধরার পরিকল্পনা রয়েছে।
জানা গেছে, গণমিনার নির্মাণের প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১০ কোটি টাকা। এই টাকা সংগ্রহে গণচাঁদা সংগ্রহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন