কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৫ জুন ২০২৪, ০৩:০৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

শিক্ষার্থী কম হলেও সব প্রাথমিক একীভূত করা হবে না : গণশিক্ষা সচিব

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ। ছবি : কালবেলা
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ। ছবি : কালবেলা

কোনো স্কুলে শিক্ষার্থী কম হলেই সেটাকে পার্শ্ববর্তী স্কুলের সঙ্গে একীভূত করা হবে না বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

যেসব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা কম, সেগুলোকে পার্শ্ববর্তী বিদ্যালয়ের সঙ্গে একীভূত করা হবে, এই তালিকা কবে নাগাদ হতে পারে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা আগেও বলেছি, এটা নীতিগত সিদ্ধান্ত। ইনজেনারেল সিদ্ধান্ত। দেশে ৬৫ হাজার ৫৬৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য, ক্যাচমেন্ট এরিয়ায় (অববাহিতকা এলাকা) এলিমেন্টারি স্কুল হয়। এই এলাকায় যে বাচ্চারা থাকে, তারা এই স্কুলে ভর্তি হয়।’

‘আমাদের লক্ষ্যও তেমন। অববাহিকা এলাকায় সবদিক থেকে যদি এমন স্কুল তৈরি করতে পারি, তখন সেখানকার এলাকার শিশুরা ওই স্কুলে ভর্তি হতে পারবে'- যোগ করেন সচিব।

তিনি বলেন, ‘আমরা এরইমধ্যে শনাক্ত করতে পেরেছি, ১৫০টির মতো স্কুলে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ১০ থেকে ৫০টির মধ্যে সীমাবদ্ধ আছে। আমরা সিদ্ধান্তি নিয়েছে, হঠাৎ করে এসব স্কুল বন্ধ করে দেব না, একীভূত করবো না।’

তিনি বলেন, ‘আমরা প্রবণতা দেখেছি, গেল ১০ কিংবা ২০ বছর ধরে যদি কোনো স্কুলে ১০-২০টি শিক্ষার্থী থাকে, আমরা সেই তথ্যের ওপর ভিত্তি করে স্কুল একীভূত করবো না। যেমন, রাঙামাটি জেলায় একটি স্কুল আছে, যেটা ১০-২০ শিক্ষার্থী নিয়ে পনেরো বছর ধরে চলছে। কিন্তু আশপাশের সাত-আট কিলোমিটারের মধ্যে কোনো স্কুল নেই। যে কারণে ওই স্কুলটি একীভূত করা হবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আবার কোনো কোনো জায়গায় রাস্তার এপাড়ে একটা স্কুল আছে, বিপরীত পাশের ৫০০ গজের মধ্যে আরেকটা স্কুল আছে। এসব স্কুলে ১০-১২টি ছাত্র-ছাত্রী আছে। আবার আধ কিলোমিটারের মধ্যে ২০০টি মতো ছাত্র-ছাত্রী আছে, এমন স্কুল আমরা একীভূত করে দেব। এমন কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছি। স্থানীয় বাস্তবতা বিবেচনা করে সব অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

নতুন শিক্ষাক্রমের প্রাথমিক পর্যায়ের মূল্যায়ন সম্পর্কে জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘আমাদের কারিকুলাম প্রণয়ন ও মূল্যায়নের পদ্ধতি নির্ধারণ করার দায়িত্ব পালন করে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। কাজেই নতুন শিক্ষাক্রমের প্রাথমিক পর্যায়ের মূল্যায়ন এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তারা বিষয়টি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। তারা চার ও পাঁচ গ্রেডে যে মূল্যায়ন করেন, সেটা নিয়ে আমাদের কিছু পর্যবেক্ষণ আছে। আমাদের প্রাথমিকের মূল্যায়ন কীভাবে হলে ভালো হয়। পরে পর্যবেক্ষণগুলো এনসিটিবিকে দিয়েছি। আশা করছি, শিগগিরই এটি চূড়ান্ত হবে।’

ফরিদ আহাম্মদ বলেন, তারা যেটা করেছেন, সেটার বেশিরভাগের সাথে আমরা একমত পোষণ করলেও আমাদের কিছু ভিন্নমত আছে। ভিন্নভাবে মূল্যায়নের।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সুখবর পেলেন মহিলা দলের নেত্রী পাপিয়া

কিডনির রোগ নিয়ে প্রচলিত ১৭ ভুল ধারণা, সত্যতা জেনে নিন এখনই

শেখ হাসিনার স্বর্ণ নিয়ে যে তথ্য দিলেন দুদক মহাপরিচালক

ভূমিকম্প পরবর্তী পরিস্থিতিতে জবি শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচনে ডোপ টেস্ট স্থগিত

স্বর্ণের দামে বড় লাফ, দুই সপ্তাহে সর্বোচ্চ

ভর্তি ফি কমানোর দাবিতে চবিতে অবস্থান কর্মসূচি

হরিণের মাথা-পা-মাংস ও ফাঁদসহ শিকারি আটক

প্রসূতির মরদেহ রেখে পালানো সেই ক্লিনিক সিলগালা

‘মিস ইউনিভার্স’ মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

দেশের সব কলেজকে ‘অতীব জরুরি’ নির্দেশনা

১০

মালয়েশিয়ায় যথাযোগ্য মর্যাদায় সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপন

১১

৪৭তম বিসিএস : এক দিন আগে পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা

১২

মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত শিক্ষাঙ্গন গড়তে হবে : ড. কাইয়ুম

১৩

শীতের সকালে নদীতে ভাবনা

১৪

আন্তর্জাতিক রচনা প্রতিযোগিতায় তিন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর সাফল্য

১৫

বাউলদের ওপর হামলা উগ্র ধর্মান্ধদের কাণ্ড : মির্জা ফখরুল

১৬

হাসিনা-কামালের মৃত্যুদণ্ডের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

১৭

ইতালিতে এক বাংলাদেশি গ্রেপ্তার

১৮

১০ দিন ধরে চিলমারী-রৌমারী রুটে ফেরি বন্ধ

১৯

গণভোট নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ৮ তথ্য জানাল সরকার

২০
X