নিজের ভক্তদের জোরপূর্বক যৌনতায় অংশগ্রহণ করান কেট টোরেস। ব্রাজিলের তুমুল জনপ্রিয় এই মডেলের বিরুদ্ধে এসেছে এমন অভিযোগ। নারীভক্তদের ফাঁদে ফেলে পাচার করে দেন তিনি। নিজের বাড়ির গৃহকর্মীদের সঙ্গে করেন ক্রীতদাসের মতো আচরণ। টোরেসের বিরুদ্ধে আনা এসব অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এতে ৮ বছরের জেলও হয়েছে তার।
ভক্তদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে নিজের খ্যাতি বাড়ানোয় মরিয়া ব্রাজিলের এই মডেল। মাঝখানে টাইটানিক অভিনেতা লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিওর সঙ্গে তার প্রেমের গুঞ্জন ওঠে। এতে সোশ্যাল মিডিয়ায় তার ভক্তের সংখ্যা বেড়ে যায় আরও।
এসবের মধ্যেই দুই নারী দাবি করেন, টোরেস তাদের পাচার করে দিয়েছিলেন। ওই নারীদের নিজের বাড়িতে রেখে অত্যাচারও করেছিলেন মডেল টোরেস। বিদেশি গণমাধ্যমেও উঠে এসেছে এসব খবর।
ভুক্তভোগী নারীরা জানান, টোরেসের বিলাসী জীবনে আকৃষ্ট হয়েছিলেন তারা। নিয়মিত হলিউড তারকাদের সঙ্গে ওঠা-বসা করেন এমন কারো কাছাকাছি থাকার ইচ্ছা ছিল ভুক্তভোগী দুই নারীর। আনা নামে এক তরুণী জানান, টোরেসের প্রতি তিনি মুগ্ধ ছিলেন। তাই ২০০০ ডলারের বিনিময়ে রান্না করা, কাপড় ধোয়া ও পোষা প্রাণীর দেখভালের কাজে নিয়েছিলেন মডেলের বাড়িতে। কিন্তু টোরেস তাকে নোংরা সোফায় শুতে বাধ্য করত। চব্বিশ ঘণ্টা ফরমায়েশে খাটতে হতো আনাকে। ঘুমের জন্য গৃহকর্মীকে মাত্র কয়েক ঘণ্টা সময় দিতেন টোরেস।
আনা পালালে ডেজিরি এবং লেটিসিয়া নামে দুই নারীকে কাজে নিয়েছিলেন টোরেস। টেক্সাসে নিজের বাড়িতে তাদের রেখেছিলেন এই মডেল। তবে কিছুদিনের মধ্যেই দুজনকে স্থানীয় স্ট্রিপ ক্লাবে কাজ করতে চাপ দেন টোরেস। এক সময় আনাকে পতিতাবৃত্তিতে রাজি করিয়ে ফেলেন তিনি। এভাবেই টোরেসের জালে নারীভক্তরা জড়িয়ে পড়েন। এমনকি মডেলের বিরুদ্ধে ২০ জন নারী মুখ খুলেছেন। এরপরই তদন্ত চালায় আমেরিকার তদন্তকারী সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন তথা এফবিআই।
মন্তব্য করুন