কালের গহ্বরে হারিয়ে যায় সময়। আর এই সময়ে ঘটে চলে নানা ঘটনা। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ইতিহাস চিন্তা, চেতনা ও প্রেরণার উৎস। ইতিহাসই আমাদের পথ দেখায় নতুন নতুন দিগন্তের।
ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায়, পৃথিবীকে আলোকিত করেছেন অনেক জ্ঞানী-গুণী। বিশ্বজুড়ে ঘটেছে গুরুত্বপূর্ণ অনেক ঘটনা। তবে সব ঘটনা ইতিহাসে ঠাঁই হয় না।
আজ রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪। একনজরে দেখে নেওয়া যাক ইতিহাসের এ দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
ঘটনাবলি
১৫২৬: মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা জহির উদ্দীন মোহাম্মদ বাবর সিংহাসনে আরোহণ করেন। ১৫৫৫: জার্মানির অগসবার্গ শহরের নামে সেখানে কংগ্রেস গঠিত হয়। ১৭০১: ব্রিটেনের জন মরিস মোগল সম্রাট আওরঙ্গজেবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ১৭৭০: ক্যাপটেন কুক নিউ সাউথ ওয়েলসে পদার্পণ করেন। ১৭৮৯: ফ্লেচার ক্রিশ্চিয়ানের নেতৃত্বে ব্রিটিশ জাহাজ বাউন্টিতে নাবিক বিদ্রোহ সংঘটিত হয়। ১৯১৯: লিগ অব নেশনস প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯২০: আজারবাইজানকে সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্ত করা হয়। পোল্যান্ড ও রাশিয়া যুদ্ধ ঘোষণা করে। ১৯৫২: জাপান সার্বভৌমত্ব ফিরে পায় এবং গণতান্ত্রিক জাপান প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬৫: মার্কিন সরকার যুক্তরাষ্ট্রের জনস্বার্থ রক্ষার অজুহাত দেখিয়ে ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রের ওপর সামরিক হামলা চালায়। ১৯৬৯: ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের পদ থেকে দ্য গল ফ্যান্সের পদত্যাগ। ১৯৯২: রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রত্যাবর্তনে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে প্রথম চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সার্বিয়া ও মন্টেনেগ্রোকে নিয়ে নতুন যুগোস্লাভিয়া ঘোষণা। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে আফগান মুজাহিদদের ১৩ বছরের যুদ্ধের পর তারা বিজয় লাভ করে। ১৯৯৫: বাংলাদেশ সরকার হুমায়ুন আজাদের নারী বইটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। ২০০১: ডেনিশ টিটো পৃথিবীর সর্বপ্রথম মহাকাশ পর্যটকের মর্যাদা লাভ করেন। ২০০৪: মার্কিন একটি গবেষণা সংস্থা সার্স ভাইরাসের ওষুধ আবিষ্কার করেন।
জন্ম
০০৩২: ওঠো, রোমান সম্রাট। ১৪৪২: চতুর্থ এডওয়ার্ড, ইংল্যান্ড রাজা। ১৭১২: ফরাসি দার্শনিক জাঁ জ্যাক রুশো। ১৭৫৮: জেমস মন্রো, যুক্তরাষ্ট্রের পঞ্চম রাষ্ট্রপতি। ১৭৯৫: চার্লস স্টুর্ট, অস্ট্রেলিয়ার আবিষ্কারক। ১৮৩৮: টবিয়াস আসের, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ডাচ আইনজীবী ও পণ্ডিত। ১৮৬৯: দিনে ফ্রান্সিস মেরি হককিন, নিউজিল্যান্ডের চিত্রশিল্পী। ১৮৭৮: লিওনেল ব্যারিমোর, মার্কিন অভিনেতা ও পরিচালক। ১৯০৬: কুর্ট গ্যডল, মার্কিন যুক্তিবিদ, গণিতবিদ। ১৯০৮: জ্যাক ফিঙ্গলটন, অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার, সাংবাদিক ও স্পোর্টসকাস্টার। ১৯২৪: কেনেথ কাউন্ডা, জাম্বিয়ার শিক্ষাব্রতী ও রাজনীতিবিদ ও প্রথম রাষ্ট্রপতি। ১৯২৮: বিশিষ্ট বাঙালি রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী নীলিমা সেন। ১৯৩০: ক্যারোলিন জোন্স, মার্কিন অভিনেত্রী। ১৯৩০: আল্ফ ভ্যালেন্টাইন, বিখ্যাত ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার। ১৯৩৬: তারেক আজিজ, ইরাকের রাজনীতিবিদ, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী, উপপ্রধানমন্ত্রী এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও পরামর্শদাতা। ১৯৩৭: সাদ্দাম হুসাইন, ইরাকের সাবেক রাষ্ট্রপতি। ১৯৪১: কার্ল ব্যারি শার্পলেস, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মার্কিন রসায়নবিদ। ১৯৪৬: উজ্জ্বল, বাংলাদেশের একজন চলচ্চিত্র অভিনেতা। ১৯৪৭: হুমায়ুন আজাদ, বাংলাদেশি লেখক। ১৯৫৩: রবার্ত অবলানো, চিলির লেখক ও কবি। ১৯৫৪: শহীদ শেখ জামাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দ্বিতীয় ছেলে। ১৯৬০: ওয়াল্টার যেঙ্গা, সাবেক ইতালিয়ান ফুটবলার ও ম্যানেজার। ১৯৬৮: অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার, দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে জন্মগ্রহণকারী জিম্বাবুয়ে দলের সাবেক ও বিখ্যাত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ১৯৭৪: পেনেলোপে ক্রুজ সানচেজ, স্প্যানিশ অভিনেত্রী ও প্রযোজক। ১৯৭৬: শেন জার্গেনসেন, অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার। ১৯৮২: কোয়েল মল্লিক, কলকাতার বিখ্যাত অভিনেত্রী। ১৯৮৭: সামান্থা আক্কিনেনি, ভারতীয় অভিনেত্রী ও মডেল। ১৯৮৮: হুয়ান ম্যানুয়েল মাতা গার্সিয়া, স্প্যানিশ ফুটবলার।
মৃত্যু
১৭৪০: প্রথম বাজিরাও, ভারতীয় সেনাপতি। ১৮১৩: মিখাইল কুটুযোভ, রাশিয়ান ফিল্ড মার্শাল। ১৮৪৩: নোয়া ওয়েবস্টার, মার্কিন অভিধান লেখক, পাঠ্যপুস্তক লেখক ও বানান সংস্কারক। ১৮৫৩: লুডভিগ টিয়েক, জার্মান লেখক ও কবি। ১৯০৩: জোসিয়াহ উইলার্ড গিবস, মার্কিন বিজ্ঞানী। ১৯৩৬: প্রথম ফুয়াদ, মিশর ও সুদানের সুলতান ও পরবর্তীকালে বাদশাহ। ১৯৪৫: বেনিতো মুসোলিনি, দ্বিতীয় মহাযুদ্ধকালে ইতালির সর্বাধিনায়ক। ১৯৫৪: লিওন জউহাউক্স, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি ইউনিয়ন নেতা। ১৯৭০: ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামের এক নারী বিপ্লবী দুকড়িবালা দেবী। এড বেগ্লেয়, মার্কিন অভিনেতা। ১৯৭৮: মোহাম্মদ দাউদ খান, আফগান সেনাপতি এবং রাজনীতিবিদ, আফগানিস্তানের প্রথম রাষ্ট্রপতি। ২০০২: ক্ষুদিরাম দাস, বিশিষ্ট রবীন্দ্রবিশেষজ্ঞ। ২০০৭: কার্ল ফ্রিডরিখ ফন ভাইৎস্যেকার, জার্মান পদার্থবিদ এবং দার্শনিক। ২০১২: মাটিল্ডে কামুস, স্প্যানিশ কবি। ২০২০: জামিলুর রেজা চৌধুরী, বাংলাদেশি প্রকৌশলী ও জাতীয় অধ্যাপক।
মন্তব্য করুন