মশা নিধনের নামে তামাশা চলছে মন্তব্য করে কীটতত্ত্ববিদ মনজুর আহমেদ চৌধুরী বলেছেন, নীতিনির্ধারকরা অবৈজ্ঞানিক পন্থায় হাঁটছেন। এতে মশা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। মারা যাচ্ছে মানুষ।
শনিবার (১৯ আগস্ট) ঢাকার সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মশা নিধনের প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
মনজুর আহমেদ চৌধুরী বলেন, ব্যাঙ, হরিণ আর হাঁস দিয়ে মশা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে। এমনটা পৃথিবীর কোথাও দেখা যায় না। ডোবা নালায় এডিস মশা ব্রিড করে সেটার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।
মহামারি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ডেঙ্গুতে জুলাই মাসে যে আক্রান্ত এবং মৃত্যু হয়েছে, সেটা আক্ষরিক অর্থেই মহামারি। মানুষ ভয় পেতে পারে এজন্য সরকার ঘোষণা করতে পারছে না।
চলতি মাসে প্রথম ১৭ দিনেই দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৪ হাজার ৪৫। এর আগে জুলাইয়ের ৩১ দিনে ৪৩ হাজার ৮৫৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।
মশা নিধনে কাজ করা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সিটি করপোরেশনগুলোর উদ্যোগ নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন মনজুর আহমেদ। সেই সঙ্গে দেশে ডেঙ্গু ‘আক্ষরিক অর্থেই মহামারি’ আকার ধারণ করেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
কীটতত্ত্ববিদ আরও বলেন, মশা নিধনে ম্যান মসকিউটো এফেক্ট কমাতে হবে। একটি পূর্ণাঙ্গ মশা ৩-৪ সপ্তাহ পর্যন্ত ডেঙ্গু ছড়াতে পারে। উড়ন্ত মশা মারার বিকল্প নেই। ফগিংয়ের মাধ্যমে ২০ শতাংশও মশা মারা সম্ভব নয়। ইউএলভি ফর্মুলার মাধ্যমে এডাল্ট মশা মারতে হবে।
শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৯ জন ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়। তাতে এ বছর এডিস মশাবাহিত রোগটিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় ৪৫৩। একই সময়ে যে ১৫৬৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়, তাদের নিয়ে এ বছর হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৫ হাজার ৮৭৭।
মন্তব্য করুন