

ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বাড়ায় এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে ওষুধের কার্যকর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে মাঠ নামছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। উড়ন্ত মশা ও লার্ভা নিধনের কার্যকর ওষুধ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে স্থানীয় নাগরিকদের অন্তর্ভুক্ত করে ওয়ার্ডভিত্তিক তদারকি টিম গঠন এবং এলাকাভিত্তিক হটস্পট চিহ্নিত করে চিরুনি অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিএসসিসি।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) ডিএসসিসির কার্যালয় ফুলবাড়ীয়ার নগর ভবনে এক জরুরি সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা নগর সংস্থার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাওয়ায় ডিএসসিসি এ সভার আয়োজন করে।
বুধবার ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ১০ জনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, যা এক দিনের হিসাবে এ বছরের সর্বোচ্চ। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটিতে ৩ জন ও ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবারও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটিতে একজন ও ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ১০৩৪ জন রোগী। এ নিয়ে চলতি বছর হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৭৬ হাজার ২৬ জনে।
ডিএসসিসি বলছে, ওয়ার্ডভিত্তিক তদারকি টিম স্থানীয়ভাবে ওষুধ প্রয়োগের সময়সূচি প্রণয়ন ও নিশ্চিত করার কাজ করবে। এ ছাড়া বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ ও নাগরিক সম্পৃক্ততার মাধ্যমে এলাকা ভিত্তিক এইডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংসে কাজ করবে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মো. মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে ডিএসসিসির স্বাস্থ্য বিভাগ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ এবং আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ডিএসসিসির প্রশাসক মো. মাহমুদুল হাসান সভায় বলেন, ‘এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব যেমন সিটি করপোরেশনের তেমন সম্মানিত নাগরিকদেরও কিছু দায়িত্ব রয়েছে।’
মাঠপর্যায়ে হঠাৎ ও দ্বৈবচয়নের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘মশক নিয়ন্ত্রণে সিটি করপোরেশন কর্মীদের যথাযথ দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নাগরিকদের সচেতনতা জোরদার করা প্রয়োজন।’
সভায় ডেঙ্গু সন্দেহ হলে ডিএসসিসির তিনটি হাসপাতাল ঢাকা মহানগর জেনারেল হাসপাতাল, ঢাকা মহানগর শিশু হাসপাতাল ও নাজিরা বাজার মাতৃসদনে বিনামূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষার আহ্বান জানানো হয় ডিএসসিসির তরফে।
এ ছাড়া ডিএসসিসি এলাকার ডেঙ্গু সম্পর্কিত তথ্য ০১৭০৯-৯০০৮৮৮ নম্বরে জানানোর অনুরোধ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন