কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০২ মে ২০২৫, ০৮:০৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

এখন মানুষ মন খুলে লিখছেন, সমালোচনা করছেন : প্রেস সচিব

চট্টগ্রামে ‘জুলাই বিপ্লব পরবর্তী বাংলাদেশ : গণমাধ্যমের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ছবি : সংগৃহীত
চট্টগ্রামে ‘জুলাই বিপ্লব পরবর্তী বাংলাদেশ : গণমাধ্যমের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ছবি : সংগৃহীত

অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে দেশের মানুষ বর্তমানে সবচেয়ে বেশি মত প্রকাশের স্বাধীনতা উপভোগ করছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, এখন মানুষ মন খুলে লিখছেন, সমালোচনা করছেন, গালিও দিচ্ছেন। কাউকে কিছু বলা হচ্ছে না।

শুক্রবার (০২ মে) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের জুলাই বিপ্লব স্মৃতি হলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন আয়োজিত ‘জুলাই বিপ্লব পরবর্তী বাংলাদেশ : গণমাধ্যমের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রেস সচিব বলেন, অনেকে আবার বলছেন, স্বৈরাচারের দোসরদের প্রতি সফট হচ্ছি। কিন্তু আমরা তো আইনের বাইরে গিয়ে কিছু করতে পারি না। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর প্রধান উপদেষ্টা সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠক করে বলেছেন, ‘আপনারা লিখুন। মন খুলে লিখুন। আমরা কোনো কলম ভেঙে দেইনি, কোনো প্রেসে তালা দেইনি। কোনো গণমাধ্যম যদি তার কর্মীকে চাকরিচ্যুত করে, আপনারা সেই গণমাধ্যম অফিসের সামনে গিয়ে প্রতিবাদ করুন।’

এছাড়া মিথ্যা ও অপতথ্য ছড়িয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা চলছে উল্লেখ করে শফিকুল আলম বলেন, জাতিসংঘ জুলাই-আগস্ট গণহত্যা নিয়ে একটি স্বচ্ছ ও চমৎকার প্রতিবেদন দিয়েছে। গত ১৫ বছরের সাংবাদিকতা নিয়ে এমন একটি প্রতিবেদন যেন করা হয়, সে বিষয়ে বাংলাদেশ খুব শিগগিরই জাতিসংঘের সহায়তা চাইবে- যাতে জুলাই-আগস্ট ছাত্র গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত গণহত্যার ওপর দেওয়া প্রতিবেদনের মতো গণমাধ্যমের সার্বিক ভূমিকার ওপর প্রতিবেদন দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘকে অনুরোধ করা হবে- বিশেষজ্ঞ একটি প্যানেল করে গত ১৫ বছরের তিনটি নির্বাচন, আইসিটির রায়ে ফাঁসি, মাওলানা সাঈদীর মামলার রায়ের পর সারা দেশে সংঘটিত ঘটনায় প্রাণহানি, শাপলা চত্বর ট্র্যাজেডিসহ সব বড় বড় ঘটনাগুলোতে কেমন সাংবাদিকতা হয়েছে, সাংবাদিকদের ভূমিকা কেমন ছিল, তা অনুসন্ধান করে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করতে।’

জুলাই আন্দোলনের সময় চট্টগ্রামে সাংবাদিকরা আন্দোলনকারীদের পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি বারবার উঠে আসে আলোচনা সভায়। এ বিষয়ে প্রেস সচিব বলেন, এ ঘটনার তদন্ত হওয়া উচিত। সাংবাদিক ইউনিয়ন ও প্রেস ক্লাবের উচিত একজন বিচারক, পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিয়ে একটি বিশেষজ্ঞ তদন্ত কমিটি গঠন করে বিষয়টি খোলাসা করা। এটি বহু আগেই করা প্রয়োজন ছিল। যারা এগুলো করেছে তাদের আইনের আওতায় আনা উচিত। আন্দোলন ব্যর্থ হলে এই সাংবাদিকরা ছাত্রদের কী করত, আপনারা দেখতেন।

সূত্র : বাসস

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গাজায় আরও বড় সামরিক অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল

স্থবির পরমাণু আলোচনা, কী বলছে ইরান

সিরিয়ায় একযোগে ব্যাপক বিমান হামলা চালাল ইসরায়েল

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসতে শুরু করেছেন হেফাজতের নেতাকর্মীরা

রাবিতে স্ক্যাবিসের প্রকোপ, আক্রান্ত ২০০ শিক্ষার্থী

নাটোরে ১৮ বছরের না হওয়া কাজ ৬ মাসের মধ্যে করব : দুলু

০৩ মে : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

শনিবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

০৩ মে : টিভিতে আজকের খেলা

০৩ মে : আজকের নামাজের সময়সূচি

১০

ঝগড়া থামাতে গিয়ে প্রাণ গেল এসএসসি পরীক্ষার্থীর

১১

হবিগঞ্জে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১

১২

স্বাস্থ্য পরামর্শ / এজেন্ট বা উৎপাদকের কারণে মানুষ রোগাক্রান্ত হয়

১৩

শিক্ষকের ওপর হামলা, মধ্যরাতে উত্তাল খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়

১৪

বাকেরগঞ্জে বাক প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

১৫

দাউদকান্দি থানায় ছাদের পলেস্তারা ধসে পুলিশ সদস্য আহত 

১৬

বন্ধ হলো নভোএয়ারের ফ্লাইট

১৭

ব্র্যাক ব্যাংকের ৫ হাজার কোটি টাকার আমানত বৃদ্ধি

১৮

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জরুরি বৈঠক, সেনা সদস্যদের প্রতিশ্রুতি

১৯

নাসির উদ্দীন পিন্টুর দশম মৃত্যুবার্ষিকী শনিবার

২০
X