কয়লা সংকটের কারণে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হওয়ার পর ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ে দেশ। তবে সপ্তাহখানেকের মধ্যে অর্থাৎ আসন্ন ঈদুল আজহার আগে এ পরিস্থিতি আরও উন্নতি হওয়ার আশা করছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
চলতি মাসের শুরুতেই তীব্র তাপদাহর সঙ্গে লোডশেডিং- এ যেন জনগণের ওপর ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’-এর মতো অবস্থা। মাঝে আবহাওয়া কিছুটা অনুকূল হওয়ায় ঠিকমতো সরবরাহ হচ্ছিল বিদ্যুৎ কিন্তু আবারও গরম বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুতের অবস্থাও অবনতি হতে থাকে।
বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, সরকার লোডশেডিং নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। আর পায়রা বন্ধ হলেও বিকল্প হিসেবে বাড়ানো হয়েছে তেল ও গ্যাসভিত্তিক কেন্দ্রের উৎপাদন। সপ্তাহখানেকের মধ্যে পরিস্থিতি আরও উন্নতি হবে। পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইন সংবাদমাধ্যমকে জানান, গ্যাস থেকে প্রায় ৭ হাজার মেগাওয়াটের ওপরে বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে। পাশাপাশি লিকুইড ফুয়েলের উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। এ ছাড়া খুব শিগগিরই তরলীকৃত জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর কথা জানান তিনি। ভবিষ্যতে পায়রার পুনরাবৃত্তি যেন না হয় উল্লেখ করে প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, নিরবচ্ছিন্ন সাপ্লাই চেইন বজায় রেখেই পরিকল্পনা করে কাজ করা হচ্ছে। পায়রা থেকে শিক্ষা নিয়ে এখন সবাই সচেতন হয়েছে। আগামীতে এ ধরনের সমস্যা হবে না বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। এদিকে আমদানিনির্ভরতা কমিয়ে আনতে সৌরসহ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
মন্তব্য করুন