সরকারি বিভিন্ন সেবা গ্রহণের নাগরিকদের অফিসে যাওয়ার দিন শেষ করতে নাগরিক সেবা উন্মোচন করা হয়েছে বলে জানান প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
রোববার (২০ জুলাই) রাজধানীর নীলক্ষেতে নাগরিক সেবা প্ল্যাটফর্মের সেবাকেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এমনটা জানান তিনি।
ফয়েজ তৈয়্যব বলেন, আগে কোনো সেবা নিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগে গিয়ে সেখানে আবেদনপত্র জমা করতে হতো। তারপর সেটা ডাউনলোড করে আবারও অফিসে যেতে হতো। আমরা লক্ষ্য নিয়েছি নাগরিক কোনো অফিসে যাবে না। যেমন এনআইডি সংশোধন, তথ্য পরিবর্তন বা নবায়ন এসব বিষয়ে আমরা এনআইডি সার্ভার থেকে একটি এপিআই (অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস) নিব তার মাধ্যমে নাগরিক সেবার সঙ্গে এনআইডি সার্ভারের সংযোগ করব।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহাকারী জানান, বর্তমানে নাগরিক সেবায় চার-পাঁচটা সেবা আছে। এখানে এনআইডি আছে, তিনটি ভূমি সেবা আছে, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আছে, পাসপোর্ট আসবে। আমরা এখন ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে কাজ করছি। এরপর আসবে ট্রেড লাইসেন্স, ট্রেড মার্ক। নাগরিক সেবা প্ল্যাটফর্মটা ইন্টার মিনিস্ট্রিয়াল এপিআই শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে একটি প্রকৃত ডিজিটাল এক্সচেঞ্জ হবে। এর মাধ্যমে শত শত অফিসের যেসব সেবা আছে সেগুলোকে ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনে নিয়ে আসব।
ফয়েজ তৈয়্যব জানান, অনলাইন জিডিটা পুরোপুরি সারা দেশে উন্মুক্ত হয়নি। আমরা দুটি বিভাগে করেছি। এই মাসের মধ্যে আমরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আরও কয়েকটি বিভাগে চালু করব। আগস্টে আমরা এটি সারা দেশে ছড়িয়ে দেব।
নাগরিক সেবাকেন্দ্রের উদ্বোধন শেষে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলাপকালে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী জানান, শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক বিভিন্ন ডিজিটাল সেবাকে নীলক্ষেতের নাগরিক সেবাকেন্দ্রে নিয়ে আসা হবে। তিনি বলেন, এই জায়গাটা শিক্ষার্থীদের একটি মিলনমেলা। এখানে হল আছে, শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বই কিনতে আসেন। তাই তাদের যেন বিভিন্ন ডিজিটাল সেবা নিতে দূরে কোথাও যেতে না হয় সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের জবাবে ফয়েজ তৈয়্যব জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে নাগরিক সেবার মাধ্যমে বিভিন্ন সার্টিফিকেট সংশোধন ও এই সংক্রান্ত আরও অন্যান্য সেবা নিয়ে আসা হবে। বর্তমানে এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সার্টিফিকেট সত্যায়ন সেবা চালু আছে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন