ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেছেন, কর রাজস্বের মাধ্যমে সরকার দেশীয় অবকাঠামো উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে থাকে। তাই দেশের অর্থনৈতিক ভিত্তি শক্তিশালীকরণে আয়কর জমা দেওয়া আমাদের প্রত্যেক নাগরিক ও ব্যবসায়ীর নৈতিক দায়িত্ব।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ডিসিসিআই মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘ব্যক্তিগত আয়কর ও ই-রিটার্ন’ শীষর্ক কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।
তাসকীন আহমেদ বলেন, কর প্রদানের বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা এড়াতে ই-রিটার্ন প্রক্রিয়া ব্যবহারের মাধ্যমে আয়কর ও ভ্যাট প্রদানে দেশের সব স্তরের জনগণের পাশাপাশি ব্যবসায়ী সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, পৃথিবীর অন্যান্য দেশের চেয়ে বাংলাদেশের জিডিপিতে আয়করের অবদান তুলনামূলকভাবে অনেক কম। আমাদের এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। বেশি হারে কর প্রদান করতে হবে। সরকার জনগণকে আয়কর প্রদানে উৎসাহিত করার পাশাপাশি কর প্রদান প্রক্রিয়ায় বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা নিরসনে ই-রিটার্ন ব্যবস্থার প্রবর্তন করেছে। এর মাধ্যমে কর প্রশাসনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে। ই-রিটার্ন প্রক্রিয়া ব্যবহার করে ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাসহ ব্যবসায়ীদের কর প্রদানে এগিয়ে আসতে হবে।
কর্মশালায় আয়কর, মূল্য সংযোজন (ভ্যাট) এবং ই-রিটার্নের ওপর তিনটি সেশন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে হাদি লুৎফুল অ্যান্ড কোংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) লুৎফুল হাদি, বিজ সলিউশনস্ লিমিটেডের প্রতিনিধি মো. শফিকুল ইসলাম এবং স্নেহাশীষ মোহাম্মদ অ্যান্ড কোংয়ের পার্টনার স্নেহাশীষ বড়ুয়া তিনটি মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এবং অংশগ্রহণকারীদের এ বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা দেন।
কর্মশালায় ঢাকা চেম্বারের সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোর ৭০-এর বেশি প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন এবং উল্লেখিত বিষয়ে সম্যক ধারণা দেওয়া হয়। এ সময় ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি রাজিব এইচ চৌধুরী, সহসভাপতি মো. সালিম সোলায়মান উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন