কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৫৭ এএম
অনলাইন সংস্করণ

দূষিত বায়ুর শীর্ষ শহর লাহোর, ঢাকার অবস্থান কত?

ঢাকায় বায়ুদূষণ। ছবি : সংগৃহীত
ঢাকায় বায়ুদূষণ। ছবি : সংগৃহীত

জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন শহরে দিন দিন বাড়ছে বায়ুদূষণ। দীর্ঘদিন ধরে মেগাসিটি ঢাকার বাতাসও দূষিত। সম্প্রতি কিছুটা উন্নতি হলেও মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে আবার দূষিত শহরের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে রাজধানী ঢাকা।

আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের তথ্যানুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকার অবস্থান দূষিত শহরের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। এ সময়ে ঢাকার স্কোর ১৬৬। এই স্কোর অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

একই সময়ে দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর শহর। তাদের স্কোর ২০৬। এরপর তৃতীয় ও চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে সেনেগালের রাজধানী ডাকার ও পাকিস্তানের করাচি শহর। এ ছাড়া পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি। শহরটির স্কোর ১৫৪।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার এ তালিকা প্রকাশ করে থাকে। প্রতিমুহূর্তের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স) সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বায়ু কতটুকু নির্মল বা দূষিত হচ্ছে, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দিয়ে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। আর তাদের কোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে কি না, তা জানিয়ে থাকে।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ সহনীয় বা মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর।

১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। একইভাবে একিউআই স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। আর ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।

বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। এটা সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।

বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো—বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো—ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলা।

ওয়ার্ল্ড হেলথ অরগানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ুদূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যানসার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বেড়ে গেছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিচ্ছেদের পথে নিকোল-আরবান

ইসরায়েলকে নিষিদ্ধ করতে মঈন আলীসহ ৫০ খেলোয়াড়ের চিঠি

আমিরে জামায়াতের সঙ্গে আর্জেন্টিনা রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ

খাগড়াছড়িতে ১৪৪ ধারা বহাল, নিহত ৩ যুবকের মরদেহ হস্তান্তর 

চলতি অর্থবছর শেষে দেশের প্রবৃদ্ধি বেড়ে হবে ৫ শতাংশ: এডিবি

নেই দুর্গোৎসবের আমেজ, ভেঙে গেল দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য

বিশেষ হজ প্যাকেজ ঘোষণা

ইলেকট্রিক কেটলি ব্যবহারে এই ৫ ভুল করবেন না যেন!

ওয়ানডে বিশ্বকাপে কোনো ম্যাচ না জিতলেও যত টাকা পাবে বাংলাদেশ

চূড়ান্ত একগুঁয়েমির পরও আইসিসি কেন ভারতকে কিছু বলতে পারে না

১০

হাইব্রিডে আগ্রহ কৃষকের, বিলুপ্তির পথে ২৭ প্রজাতির ধান 

১১

এলডিসি উত্তরণ প্রস্তুতির নিরপেক্ষ মূল্যায়নে সহায়তা দেবে জাতিসংঘ

১২

সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তিতে যোগ দিতে খামেনির উপদেষ্টার তাগিদ

১৩

জামায়াতের ৪৫ নেতাকর্মীর বিএনপিতে যোগদান ‎

১৪

দূষিত বায়ুর শীর্ষ শহর লাহোর, ঢাকার অবস্থান কত?

১৫

ভারতকে ট্রফি দিতে শর্ত জুড়ে দিল পিসিবি সভাপতি

১৬

ঘর আছে মানুষ নেই, আশ্রয়ণ প্রকল্প যেন ‘ভূতের বাড়ি’

১৭

টানা ৪ দিন বন্ধ থাকবে ব্যাংক ও পুঁজিবাজার

১৮

সকালে পরোটা খাবেন কি?

১৯

বিপাকে বরুণ ধাওয়ান

২০
X