ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নিয়ন্ত্রণাধীন মার্কেটগুলোতে অবৈধ দখলদার ঠেকাতে নিয়মিত নির্বাচন আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
রোববার (১২ নভেম্বর) ডিএসসিসির প্রধান কার্যালয় নগর ভবন প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ বিপণিবিতান এবং ধূপখোলা মাঠ মার্কেটে দোকান বরাদ্দ দেওয়ার লক্ষ্যে আয়োজিত ‘দোকান বরাদ্দ লটারি’ অনুষ্ঠানে তিনি এ উদ্যোগের কথা জানান।
শেখ তাপস বলেন, আমরা দেখি এখনো বেশিরভাগ মার্কেট অবৈধ দখলদারের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হচ্ছে। আমরা সেটা ভাঙার চেষ্টা করছি। আমরা চাই, প্রতিটি মার্কেটে নিয়মিত নির্বাচন হবে। নিয়মিত দোকানদার প্রতিনিধিরা ভোটার হবেন। তারা নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের কার্যকরী কমিটি নির্বাচিত করবেন। প্রতিটি মার্কেটে যথারীতি যথা নিয়মে নির্ধারিত মেয়াদে নির্বাচন সম্পন্ন করে দোকানদার প্রতিনিধিদের মাধ্যমে মার্কেটগুলো পরিচালিত হবে। এ লক্ষ্যে আমরা এরই মধ্যে উদ্যোগ নিয়েছি এবং ইনশাআল্লাহ্, এটা আমরা নিশ্চিত করব। শুধু আমাদের অংশেই নয়, মার্কেট অংশেও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। সবাই জবাবদিহির আওতায় আসবে।
দোকান বরাদ্দে ক্ষতিগ্রস্তদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয় জানিয়ে মেয়র বলেন, আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অগ্রাধিকার দিয়ে থাকি। তাদেরগুলো নির্ধারণ করার পরই অন্যগুলো নির্মাণের জন্য প্রস্তুত হয়। সেগুলো আমরা অন্য বরাদ্দপ্রত্যাশীদের দিয়ে থাকি। আপনারা যারা দোকান বরাদ্দ পাবেন তাদের অগ্রিম অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। যারা পাবেন না, তারা ৩০ দিনের মধ্যেই জামানতের অর্থ ফেরত পেয়ে যাবেন।
তিনি বলেন, এটিও কিন্তু একটি নতুন সংযোজন। অর্থ ফেরত পেতে কোনো রকম হয়রানি বা সমস্যার নজির নেই। অতীতে দেখা গেছে, জামানতের অর্থ জমা দেওয়া আছে ১২ বছর আগে, কিন্তু তা ফেরত পায়নি, মার্কেটও নির্মাণ হয়নি। স্বচ্ছতা এবং সততার সঙ্গে আমাদের রাজস্ব বিভাগ কাজ করছে, এটি তারই প্রতিফলন।
মেয়র তাপস বলেন, শুধু নতুন নির্মাণই নয় পুরোনো মার্কেটও দ্রুত সংস্কার করে তা বরাদ্দপ্রাপ্তদের যথাযথভাবে হস্তান্তর করা হচ্ছে। আমরা অনেকগুলো মার্কেট নির্মাণ করছি। এরই মধ্যে সিদ্দিকবাজার মার্কেটের নির্মাণকাজ সম্পন্ন করে বরাদ্দকারীদের বুঝিয়ে দিয়েছি। আজিমপুর আধুনিক নগর মার্কেটের নির্মাণকাজও প্রায় শেষ। লটারিসহ সব কার্যক্রম শেষ হয়েছে। আশা করি আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে আমরা সেগুলোও হস্তান্তর করতে পারব।
তিনি বলেন, মেরাদিয়া কাঁচাবাজার মার্কেট, আমরা সেটাও নির্মাণ করছি। এভাবেই সূচি অনুযায়ী আমরা একেকটি মার্কেটের নির্মাণ কার্যক্রম সম্পন্ন করছি এবং সেগুলোর অগ্রগতি বারবার খেয়াল রাখছি। আমরা নতুন মার্কেটগুলো যেমন নির্মাণ করছি একই সঙ্গে পুরোনোগুলোও দ্রুত সংস্কার করে দোকানদারদের কাছে হস্তান্তরের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ বহুতল বিপণিবিতানে ৩৫১ জন ক্ষতিগ্রস্তসহ মোট ৪২৬ জন এবং ধূপখোলা মাঠ মার্কেটে ২৬৬ জন ক্ষতিগ্রস্তসহ ৩৫৫ জন বরাদ্দগ্রহীতাকে দোকান বরাদ্দের কাগজপত্র হস্তান্তর করা হয়।
করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব আকরামুজ্জামান, অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন সরকারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন