আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে রাজধানীতে মানববন্ধন করেছে মানবাধিকার সংগঠন ‘এশিয়া মানবাধিকার সংস্থা’। রোববার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে পুরানা পল্টন সংলগ্ন আলরাজি কমপ্লেক্সের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এশিয়া মানবাধিকার সংস্থার মহাসচিব নজরুল ইসলাম বাবলু বলেন, বিভিন্ন সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ক্রসফায়ারে হত্যা, কারাগারে বন্দিদের মৃত্যু, পোশাক শ্রমিকদের গুলি করে হত্যা, পুলিশ হেফাজতে আসামির মৃত্যু এবং সভা-সমাবেশের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনা উদ্বেগজনক।
দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে সরকার পক্ষের একতরফা নির্বাচন সম্পন্ন করার প্রস্তুতি এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন নিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর মুখোমুখি অবস্থানে বড় ধরনের সংঘাত হতে পারে। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে গণমাধ্যম ও সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর তথ্য অনুযায়ী- আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রায় লক্ষাধিক লোককে বন্দি করে রেখেছে। তার মধ্যে বিএনপি-জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দও রয়েছেন। এ ছাড়াও বাংলাদেশে সম্প্রতি গণমাধ্যমে উঠে আসা বন্দির তালিকায় রয়েছে ছেলেকে না পেয়ে 'মা'কে গ্রেপ্তার, 'বাবা'কে না পেয়ে ছেলেকে গ্রেপ্তার, বড় ভাইকে না পেয়ে ছোট ভাইকে গ্রেপ্তারের মতো ঘটনা।
বাবলু বলেন, এশিয়া মানবাধিকার সংস্থা আশা করে- সুশাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গণদাবির পক্ষ নিয়ে বাংলাদেশ সরকার একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এশিয়া মানবাধিকার সংস্থার ভাইস চেয়ারম্যান ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক (সৌদি-দুবাই শাখা) দুলাল সিদ্দিকী বলেন, জনগণের অধিকারগুলোকে হরণ করে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা যায় না। তাই জনগণের স্বার্থে মানবাধিকার ও সুশাসনের প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন।
এশিয়া মানবাধিকার সংস্থার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক (যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য শাখা) এবং ভাইস চেয়ারম্যান এ এস এম রহমত উল্যাহ ভূঁইয়া আশঙ্কা ব্যক্ত করে বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে না পারলে দেশ আগামীতে গভীর সংকটে পড়তে পারে।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন এশিয়া মানবাধিকার সংস্থার যুগ্ম মহাসচিব রাইসুল ইসলাম চন্দন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক পারভেজ পাটোয়ারী, মো. শাওন, সাংবাদিক ফখরুল ইসলাম, জনি নন্দী প্রমুখ।
মন্তব্য করুন