আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তর শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসের প্রথম প্রহরে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনে মিরপুর শহিদজীবী স্মৃতিসৌধ ও রায়ের বাজার বধ্যভূমিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। বেলা ১১ টায় অধিদপ্তরের জাতীয় গ্রন্থাগার মিলনায়তনে আলোচনা সভা এবং শহিদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. সালমা মমতাজের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন জাতীয় গ্রন্থাগারের পরিচালক (যুগ্মসচিব) এস এম আরশাদ ইমাম ও জাতীয় আরকাইভসের পরিচালক (যুগ্মসচিব) মো. আব্দুর রশিদ।
সভাপতির বক্তব্যে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. সালমা মমতাজ বলেন, শহিদ বুদ্ধিজীবীদের চেতনা ও লক্ষ্যের সঙ্গে এই অধিদপ্তরের ভিশন-মিশনের চমৎকার মিল রয়েছে। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালায়ের আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তর মূলত দুটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান তথা জাতীয় আরকাইভস ও জাতীয় গ্রন্থাগারের সমন্বয়ে গঠিত। যার মূল লক্ষ্যই হলো মূল্যবান নথিপত্র ও সৃজনশীল গ্রন্থসামগ্রী সংগ্রহ-সংরক্ষণপূর্বক ইতিহাস-ঐতিহ্য সচেতন জ্ঞানভিত্তিক জাতি গঠনে সহায়তা করা।
তিনি অধিদপ্তরের পরিচিতি ও সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর লক্ষ্যে প্রচার ও প্রসারের ওপর গুরত্বারোপ করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করেন জাতীয় গ্রন্থাগারের পরিচালক (যুগ্মসচিব) এস, এম আরশাদ ইমাম ও জাতীয় আরকাইভসের পরিচালক (যুগ্মসচিব) মো. আব্দুর রশিদ।
এছাড়া অধিদপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ উন্মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্য আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তরে সপ্তাহব্যাপী (১৬-২১ ডিসেম্বর) মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক দুষ্প্রাপ্য নথিপত্র ও গ্রন্থ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩ সকাল ৯ টায় জাতীয় গ্রন্থাগার ভবনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচ্চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত চলচ্চিত্র প্রদর্শনী এবং সপ্তাহব্যাপী মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক নথিপত্র ও গ্রন্থ প্রদর্শনীটি সবার জন্য উন্মুক্ত।
মন্তব্য করুন