কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৬:১৬ পিএম
আপডেট : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৩১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

অর্থপাচারে জড়িত ৭ ব্যাংকের কর্মকর্তারা : দুদক সচিব

দুদক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন সংস্থাটির সচিব মো. মাহবুব হোসেন। ছবি : কালবেলা
দুদক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন সংস্থাটির সচিব মো. মাহবুব হোসেন। ছবি : কালবেলা

অর্থপাচারের সঙ্গে ৭ ব্যাংক ও দুই মানি এক্সচেঞ্জার প্রতিষ্ঠানের বিমানবন্দর শাখার অসাধু কর্মকর্তারা জড়িত বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। সংশ্লিষ্ট ব্যাংক এবং মানি এক্সচেঞ্জার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা দুদকের নজরদারিতে রয়েছে বলেও জানান দুদক সচিব।

তিনি বলেন, অর্থপাচারের সঙ্গে জড়িত ব্যাংকগুলো হলো- জনতা ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক এবং এভিয়া মানি এক্সচেঞ্জার ও ইমপেরিয়াল মানি এক্সচেঞ্জার। এ ছাড়াও আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে।

দুদক সচিব বলেন, প্রবাসী ওয়েজ আর্নার্স ও বিমানের যাত্রীরা হজরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যে রেমিট্যান্স নগদ ও বৈদেশিক মুদ্রায় নিয়ে আসেন তা ব্যাংকিং চ্যানেলে রাষ্ট্রীয় রিজার্ভে জমা হওয়ার কথা। কিন্তু অসাধু কর্মকর্তারা ব্যাংকের টাকা ব্যবহার করে তা ব্যাংকিং চ্যানেলে সংগৃহীত না দেখিয়ে নিজেরাই ক্রয় করে মার্কেটে বিক্রি করে দেন। যা পরে মানিলন্ডারিংয়ের মাধ্যমে আবার বিদেশে পাচার হয়ে যায়।

তিনি বলেন, গতকাল সোমবার দিনব্যাপী অভিযান পরিচালনার সময় বিদেশি মুদ্রার কালোবাজারির সঙ্গে জড়িত ব্যাংক ও মানি এক্সচেঞ্জারদের একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সন্ধান পায় দুদক।

মো. মাহবুব হোসেন বলেন, প্রতিদিন হাজার হাজার প্রবাসী কর্মজীবী ও বিদেশ থেকে বাংলাদেশে ভ্রমণকারীরা বিমানবন্দর হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। এ সময় তারা তাদের সঙ্গে থাকা বিদেশি মুদ্রা বিমানবন্দরের ব্যাংকের বুথ ও মানি এক্সচেঞ্জারে দেশীয় মুদ্রা বাংলাদেশি টাকায় এনকেশমেন্ট করেন। নিয়ম অনুযায়ী ফরেন কারেন্সি এনকেশমেন্ট ভাউচার এনকেশমেন্টকারীকে দিতে হয়। কিন্তু ব্যাংক ও মানি এক্সচেঞ্জাররা ভাউচার না দিয়ে বা জাল ভাউচারে সরাসরি বৈদেশিক মুদ্রা গ্রহণ করে বিনিময়ে টাকা দিয়ে দেন। এ ছাড়াও তারা স্বাক্ষরবিহীন ভুয়া ভাউচার দেন। এই বিদেশি মুদ্রা ক্রয়কারী ব্যাংক ও মানি এক্সচেঞ্জার প্রতিষ্ঠান তাদের প্রতিষ্ঠানের অনুমোদিত একাউন্টে অন্তর্ভুক্ত করেন না। ফলে বিদেশি মুদ্রার কেন্দ্রীয় রিজার্ভে এসব বিদেশি মুদ্রা যুক্ত হয় না। যার কারণে বাংলাদেশ বিদেশি মুদ্রার ঘাটতি বা সংকটের সৃষ্টি হয়। এভাবে দিনে অন্তত শত কোটি টাকা মূল্যের বৈদেশিক মুদ্রা থেকে ব্যাংকিং খাত বঞ্চিত হচ্ছে। যা পরে পাচার হয়ে যায়।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সচিব বলেন, এই চক্রের সঙ্গে আরও কারা কারা জড়িত সেটি যাচাইবাছাই চলছে। যাচাইবাছাই শেষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পুশইন করা ভারতীয় দম্পতিকে ফেরত পাঠালো বিজিবি 

১৭ জুন : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

দুপুরের মধ্যে যেসব জেলায় হতে পারে ঝড়

মঙ্গলবার ঢাকার যেসব এলাকায় মার্কেট বন্ধ

১৭ জুন : আজকের নামাজের সময়সূচি

মেঘনায় মালবাহী ট্রলারডুবি 

‘বিএনপির কথা শুনবে, না হয় ইউএনওগিরি-ওসিগিরি ছেড়ে চলে যেতে হবে’

একাধিক বিস্ফোরণ তেহরানে

বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে গণতন্ত্রের পথে ঐতিহাসিক অগ্রগতি

ভোটের জন্য মানুষ মুখিয়ে আছে : মোস্তফা জামান 

১০

এবার তেহরান খালি করার আহ্বান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের

১১

ইসরায়েল নাগরিকদের নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে নির্দেশ

১২

ইরানের যে প্রযুক্তির কাছে নাকানিচুবানি খাচ্ছে ইসরায়েল

১৩

ইরানের হামলায় ইসরায়েলি তেল পরিশোধনাগার বিধ্বস্ত

১৪

সামরিক অভিযানে গাজায় ৪৩১ ইসরায়েলি সেনা নিহত 

১৫

এরদোয়ানের সঙ্গে পেজেশকিয়ানের ফোনালাপ

১৬

চীনের পরমাণু অস্ত্র নিয়ে উত্তেজনা

১৭

ইসরায়েলের চতুর্থ এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান ভূপাতিতের দাবি ইরানের

১৮

ইসরাইলের বিভিন্ন শহরে হামলা শুরু করেছে ইরান

১৯

ইরানে অস্ত্র ভরা বিমান পাঠিয়েছে চীন

২০
X