খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ বলেছেন, প্রতিবছর রোজা কাছাকাছি এলে এদেশে সিন্ডিকেট চক্র যেভাবে নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে ওঠে তাতে মনে হয় দেশে প্রশাসন বলতে কিছুই নেই। দলীয় পরিচয়ে বেড়ে ওঠা এসব অসাধু ব্যবসায়ী সর্বদা সরকারি আনুকূল্য পেয়ে এমন বেপরোয়া হয়ে ওঠে। একদিকে এই চক্র মানুষকে জিম্মি করে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করছে অন্যদিকে ভ্যাট ও ট্যাক্স বাড়িয়ে সরকার তা মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে নিয়ে গেছে।
শনিবার (৯ মার্চ) খেলাফত মজলিসের নির্ধারিত সদস্যদের নিয়ে আয়োজিত দুদিনব্যাপী তরবিয়তি মজলিসে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, খেজুরের মতো ইফতারের নিত্য অনুষঙ্গ ও পুষ্টিকর ফলের আমদানি শুল্ক বাড়ানোর কারণে এর দাম প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। অবিলম্বে রোজার আগেই দ্রব্যমূল্য ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। রমজানের পবিত্রতা নষ্ট হয় এমন অপতৎপরতা সরকারকে অবশ্যই বন্ধ রাখতে হবে।
মাওলানা আব্দুল বাছিত বলেন, মজলুম মানুষের আহাজারিতে চারদিক ভারী হয়ে উঠেছে। বিগত ৫ মাস ধরে চলমান বর্বর ইসরায়েলি আগ্রাসনে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে ফিলিস্তিনের গাজা। বিশ্বের বিভিন্ন জনপদে শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতা, আধিপত্য টিকিয়ে রাখতে জনগণের ওপর শোষণ জুলুমের স্টিম রোলার চালাচ্ছে। জুলুম-শোষণ থেকে মানবতার মুক্তির একমাত্র পথ হচ্ছে ইসলাম। মানুষের দুনিয়ার কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তির জন্য ইসলামকে শক্তভাবে আঁকড়ে ধরতে হবে। খেলাফত রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে দল-মত-পথের ঊর্ধ্বে উঠে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
গত ৮ ও ৯ মার্চ রাজধানীর একটি মিলনায়তনে কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলমের পরিচালনায় তরবিয়তি মজলিসের আলোচনা হয়। এতে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা করেন দলের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের, কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা আবদুল কাদির সালেহ, জিয়াউল হক শামীম, জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, এ বি এম সিরাজুল মামুন, ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক মুহাম্মদ আবদুল জলিল, মুহাদ্দিস শেখ মুহাম্মদ সালাহউদ্দিন, ডা. রিফাত হোসেন মালিক, আবদুল হাফিজ খসরু, সাহাব উদ্দিন আহমদ খন্দকার, জহিরুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা ফয়জুল ইসলাম, মাওলানা আজিজুল হক, নুর হোসেন, ডা. আবদুর রাজ্জাক, সাইফ উদ্দিন খন্দকার, আবুল হোসেন, আজিজুল হক প্রমুখ।
মন্তব্য করুন