কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৯ জুলাই ২০২৩, ০৫:২৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

নৌ দুর্ঘটনায় ছয় মাসে নিহত ৫৭, নিখোঁজ ৩৪

এসসিআরএফ
এসসিআরএফ

অভ্যন্তরীণ নৌপথে দুই ঈদ মৌসুমসহ গত ছয় মাসে বিভিন্ন ধরনের ৫৪টি দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ৫৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৫০ জন, ৩৪ জন নিখোঁজ হয়েছেন। তবে এ সময়ে বড় ধরনের কোনো লঞ্চ দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেনি। এ ছাড়া হতাহতের তালিকায় কোনো নারী ও শিশু নেই।

বুধবার (১৯ জুলাই) শিপিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন রিপোর্টার্স ফোরামের (এসসিআরএফ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ প্রকাশ করা হয়।

এসসিআরএফের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নৌ দুর্ঘটনার ওপর নিয়মিত পর্যবেক্ষণ চালিয়ে এবং ১২টি বাংলা জাতীয় দৈনিক, ৫টি ইংরেজি জাতীয় দৈনিক, ৯টি অনলাইন নিউজপোর্টাল ও সংবাদ সংস্থা ও ৬টি আঞ্চলিক দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।

অভ্যন্তরীণ নৌ দুর্ঘটনার দুই সপ্তাহ পর নিখোঁজ ব্যক্তিদের জীবিত খুঁজে পাওয়ার নজির নেই উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, তাদের অধিকাংশেরই সলিলসমাধি ঘটে। এই হিসেবে ছয় মাসে নিহতের সংখ্যা হবে ৯১।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জানুয়ারিতে পাঁচটি নৌ দুর্ঘটনায় আটজন নিহত, পাঁচজন আহত ও ছয়জন নিখোঁজ হয়েছেন। ফেব্রুয়ারিতে ১৩টি নৌ দুর্ঘটনায় ১৪ জন নিহত, ২৪ জন আহত ও ১৪ জন নিখোঁজ হয়েছেন।

মার্চে সাতটি দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতের সংখ্যা যথাক্রমে ৯ ও পাঁচ। এ মাসে নৌ দুর্ঘটনায় কেউ নিখোঁজ হননি। এপ্রিলে ৯টি দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহত হয়েছেন। আহত ও নিখোঁজের সংখ্যা যথাক্রমে ছয় ও তিন।

মে মাসে সাতটি দুর্ঘটনায় পাঁচজন নিহত, তিনজন আহত ও তিনজন নিখোঁজ হয়েছে। জুন মাসে নৌ দুর্ঘটনা ঘটেছে ১৩টি। এতে নিহত, আহত ও নিখোঁজ হয়েছে যথাক্রমে ১০, সাত ও আটজন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, দুর্ঘটনাকবলিত নৌযানগুলোর মধ্যে রয়েছে যাত্রীবাহী ট্রলার, স্পিডবোট, তেলবাহী, বাল্কহেড (বালিবাহী নৌযান), পণ্যবাহী ও লাইটার জাহাজ। এগুলোর মধ্যে অধিকাংশ ট্রলার ও বালিবাহী নৌযানের অনুমোদিত নকশা, বার্ষিক ফিটনেস সনদ (সার্ভে) ও নিবন্ধন নেই।

এসসিআরএফের পর্যবেক্ষণে দুর্ঘটনার ১৩টি কারণের মধ্য রয়েছে, সারা দেশে বিপুলসংখ্যক অবৈধ নৌযান চলাচল। অদক্ষ ও সনদবিহীন চালক। ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী ও পণ্য পরিবহন। বিদ্যমান আইন ও বিধিবিধান যথাযথভাবে অনুসরণ না করা। নৌ মন্ত্রণালয়ের আদেশ লঙ্ঘন করে রাতে বালিবাহী নৌযান চলাচল। বিআইডব্লিউটিএ, নৌ পরিবহন অধিদপ্তর ও নৌ পুলিশের তদারকির অভাব। ভ্রাম্যমান আদালতের স্বল্পতা। নৌপথে নাব্যসংকট। বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি। সব দুর্ঘটনার যথাযথ তদন্ত না হওয়া। বিভিন্ন সময়ে দুর্ঘটনার পর গঠিত তদন্ত কমিটিগুলোর সুপারিশ বাস্তবায়ন না করা। আইন ভঙ্গকারী ও দুর্ঘটনার জন্য দায়ীদের যথাযথ শাস্তি না দেয়া ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পিআর নিয়ে আমরা শেষ পর্যন্ত লড়ব : চরমোনাই পীর

ফুটবলকে বিদায় বললেন মেসির আরও এক সতীর্থ

ইউনেস্কোর ৪৩তম সাধারণ সম্মেলনের সভাপতি বাংলাদেশ

ভারতীয়দের জন্য সংকুচিত হচ্ছে মার্কিন দরজা

‘সোলজার’র প্রথম ঝলকে কী বার্তা দিলেন শাকিব খান?

কালবেলায় সংবাদ প্রকাশ / সেই রাশিদার চিকিৎসার দায়িত্ব নিল খুলনা মেডিকেল

টিকিট কালোবাজারিদের বিরুদ্ধে ডিসি সারওয়ারের হুঁশিয়ারি

আবরার ফাহাদ স্মরণে ৮ স্তম্ভ নির্মাণ, ব্যয় কত

মুক্তি পেলেন ইসরায়েলে আটক পাকিস্তানের জামায়াত নেতা

মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্টে হজযাত্রী নিবন্ধনের বিষয়ে যা জানা গেল

১০

তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নেতৃত্ব দেবেন : এম এ মালিক

১১

এক দিনের ব্যবধানে আরও বাড়ল স্বর্ণের দাম

১২

বাংলাদেশ সফরের জন্য আইরিশদের দল ঘোষণা

১৩

এবার আরেক অপ্রতিরোধ্য সক্ষমতা অর্জনের পথে পাকিস্তান

১৪

কুমিল্লায় গৃহবধূকে ধর্ষণ, ২ যুবক গ্রেপ্তার

১৫

মেঘনায় অভিযানিক দল ও জেলেদের সংঘর্ষ

১৬

হংকংয়ের বিপক্ষে জয় নিয়ে আশাবাদী হামজা

১৭

যে ৬ সমস্যায় কখনোই এআইয়ের পরামর্শ নেওয়া যাবে না

১৮

গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারীকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা

১৯

চাঁদাবাজদের উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে : কফিল উদ্দিন

২০
X