ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ
প্রকাশ : ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ১১:৩৬ এএম
অনলাইন সংস্করণ
জাতীয় আয়কর দিবস

বাংলাদেশে রাজস্ব আহরণ ব্যবস্থাপনায় নেতিবাচক আবহ সৃষ্টি হয়েছে

সাবেক সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ। ছবি : সৌজন্য
সাবেক সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ। ছবি : সৌজন্য

মূলত এবং মুখ্যত নব্বইয়ের দশকেই বাংলাদেশে কর রাজস্ব আহরণে ঊর্ধ্বমুখী অগ্রযাত্রা শুরু। ১৯৯১ এর শুরুতে প্রথম তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় আসে। বাংলাদেশে ট্রেডিংনির্ভরতা থেকে উৎপাদনমুখী অর্থনীতির নবযাত্রা শুরু হয় সেখান থেকেই। প্রথম বছরেই মূল্যসংযোজন কর আইন পাস ও প্রবর্তিত হয়। বিরানব্বই সালে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের লোকবল ও কর্মকাঠামোয় প্রথম সস্প্রসারণ ও সংস্কার আনা হয়।

সে সময় বাংলাদেশে ব্যবসা বাণিজ্য উৎপাদন ব্যবস্থায় নতুন উদ্যম নতুন উদ্যোগ সংযোজিত হওয়ায় অর্থনৈতিক খাতের ব্যাপক প্রসার ঘটে। এ দশকেই তিনবার (১৯৯২, ১৯৯৬ ও ১৯৯৯) ঘোষিত হয় সংশোধিত শিল্পনীতি। ১৯৯৩ সালে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন গঠন, প্রাইভেটাইজেশন বোর্ড প্রতিষ্ঠা, সাউথ এশিয়ান প্রিফারেনসিয়াল ট্রেড অ্যারেঞ্জমেন্ট (সাফটা) চুক্তি স্বাক্ষরিত এবং ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন অ্যাক্ট পাস হয়। ১৯৯৪ সালে প্রথম সেলুলার ফোন পদ্ধতি চালু, ১৯১৩ সালের কোম্পানি আইন প্রথম সংশোধন, টাকাকে চলতি হিসাবে লেনদেনের জন্য রূপান্তরযোগ্য ঘোষণা, বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অর্থতহবিলের ৮নং আর্টিকেলের মর্যাদা লাভ এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ আইন ও বিধিমালা জারি হয়।

১৯৯৫ সালে ইন্টারন্যাশরাল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ইন বাংলাদেশ (আইসিসিবি) গঠিত হয় এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ চালু হয়। ১৯৯৬ সালে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ে পাওয়ার সেল গঠন, গ্রাসাধার বিধিমালা জারি, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা প্রতিষ্ঠা, প্রাইভেট একসপার্ট প্রসেসিং জোন আইন পাস, প্রাইভেট পাওয়ার জেনারেশন পলিসি ঘোষণা।

দশকের প্রথমার্ধে ব্যবসা-বাণিজ্য বিনিয়োগ উৎপাদন তথা আর্থিক খাতে যুগোপযোগী আইন প্রবর্তন, নীতি নিয়ম পদ্ধতিতে পরিবর্তন ও সংস্কার সাধিত হওয়ার ফলে রাজস্ব আহরণের উপায় উন্নতি দৃশ্যগ্রাহ্য হয়। মূসক আইন প্রবর্তনসহ বেশ কয়েকটি রেগুলটরি সংস্থা প্রতিষ্ঠার ফলে কর রাজস্ব আহরনের প্রকৃতি বিস্তৃত হয় ও সার্বিক রাজস্ব আহরণের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। ১৯৮৭-৮৮ সালে জিডিপি ৫৯৭ বিলিয়ন থেকে ১৯৯২-৯৩ সালে ১২৫৪ এবং ১৯৯৭-৯৮ সালে ২০০২ বিলিয়ন টাকায় উন্নীত হয় এ দশকেই।

ভোগ জিডিপির রেশিও ১৯৮৭-৮৮ সালে সেখানে ছিল ৯৭%,১৯৯২-৯৩ সালে তা ৮৭.৭% এবং ১৯৯৭-৯৮ সালে ৮২.৬% এ নেমে আসে। বিশেষভাবে লক্ষ্যনীয় যে, জাতীয় সঞ্চয় ও জিডিপির অনুপাত ১৯৮৭-৮৮ সালে ১০.৭ থেকে ১৯৯২-৯৩ সালে ১৮.০ এবং ১৯৯৭-৯৮ সালে ২১.৮ এ উন্নীত হয় এবং মোট বিনিয়োগ জিডিপির অনুপাত ১৯৮৭-৮৮ সালে ১১.৮ থেকে ১৯৯২-৯৩ সালে ১৭.৯ এবং ১৯৯৭-৯৮সালে ২১.৬ এ উন্নীত হয়।

এর প্রভাব প্রতিফলন ঘটে রাজস্ব আহরণ পরিস্থিতিতে -১৯৮৭-৮৮ সালে এনবিআর অর্জিত রাজস্ব আয়ের পরিমাণ যেখানে ছিল ৩৯.৫ বিলিয়ন টাকা, ১৯৯২-৯৩ সালে তা ৮৬.৪ এবং ১৯৯৭-৯৮ সালে ১৩৮ বিলিয়ন টাকায় বৃদ্ধি পায় ।কর রাজস্ব আয় ও জিডিপির অনুপাত ১৯৮৭-৮৮ সালের ৮.৭% থেকে ১৯৯২-৯৮ সালে ৮.৮% এবং ১৯৯৭-৯৮ সালে তা ৯.৪% এ উন্নীত হয় । এরপর অবশ্য কর জিডিপি ও রেশিও আর তেমন বাড়েনি। মূলত কাছাকাছি থাকে। এর অর্থ হলো অর্থনীতিতে আয় ব্যয় বৃদ্ধি পেলেও কর রাজস্ব আয় সমানুপাতিক হারে বাড়েনি।

প্রসঙ্গত যে, তখন পর্যন্ত শুধু আমদানি শুল্কই ছিল রাজস্ব আয়ের অন্যতম উৎস। মূল্যসংযোজন কর প্রবর্তনের ফলে স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদন ও বিপণন এবং আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য ক্ষেত্রে সম্পূরকসহ শুল্ক হিসাবায়ন ও আদায় অভিযাত্রায় একটি গুণগত পরিবর্তন সূচিত হয় এবং উঠে আসে ভোক্তা কর্তৃক প্রদত্ত পরোক্ষ (পণ্য ও সেবা) কর হিসাব ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা বৃদ্ধির তাগিদ। তবে প্রথম দিকে এ ব্যবস্থায় অভ্যস্ত হতে এবং করদাতা ও আহরণকারী উভয়পক্ষের মধ্যে নানান অনুযোগ অজুহাতে একধরনের ‘সময় নেওয়ার’ প্রবণতা লক্ষ করা যায়। অর্থনীতি যখন সবে বড় হওয়া শুরু সে সময় নতুন ভ্যাট আইন হঠাৎ করে কিছুটা হলেও গোলকধাঁধার পরিবেশ সৃষ্টির দ্যোতক হিসেবে কাজ করে ।

পরবর্তীতে এর গ্রহণ ও প্রয়োগ যোগ্যতায় আনা হয় সংস্কার। ২০১২ সালে (কথিত) নতুন ভ্যাট আইনটি পার্লামেন্টে নতুন মোড়কে পাস করা হলেও, ১৯৯১ সালের মতো ব্যবসায়ীদের অব্যাহত অনুযোগ অজুহাত এবং যা মোকবিলায় পর্যাপ্ত পদক্ষেপ গ্রহণের দীর্ঘসূত্রিতায়, সর্বোপরি এ আাইন বাস্তবায়নে দৃঢ়সংকল্প রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের অপ্রতুলতায় এটি প্রবর্তিত হতে পারেনি বিগত ৭ বছরেও। তথাপিও ভ্যাট আইন প্রবর্তন ও বাস্তবায়নে বাংলাদেশ এখনো প্রতিবেশী বৃহৎ ভারতীয় অর্থনীতির চাইতে পারঙ্গমতার সাথে অগ্রগামিতায় ।

বাংলাদেশের রাজস্ব ব্যবস্থাকে একটি স্বয়ংক্রিয় ও যুক্তিযুক্ত ভিত্তি প্রক্রিয়ার ওপর দাঁড় করানোর লক্ষ্যে এ দশকের প্রথমার্ধে গঠনমূলক বেশ কিছু উদ্যোগ গৃহীত হলেও পরবর্তীকালে সে সব প্রয়াস প্রচেষ্টায় যথাযথ ফলো আপ ছিল না । ফলে ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক কর্মকান্ডকে রাজস্ব আহরন আওতায় আনতে শুধু বেগ পেতেই হয়নি বা হচ্ছে না এখানে বেশকিছু ত্রুটি বিচ্যুতিও অনুপ্রবেশ করে। শুল্ক হার নিরূপণ নির্ধারণে ট্যারিফ কমিশনের তথ্য-উপাত্ত ও যুক্তি সরবরাহের প্রশ্নে এনবিআরের সাথে ট্যারিফ কমিশনের মধ্যে সমন্বয়হীনতা বেড়ে যায় যোগাযোগ হ্রাস পায়।

আমদানি পণ্যের সঠিক মূল্য নির্ধারণ ও শুল্কায়নের স্বার্থে প্রাক জাহাজীকরণ ইনসপেকশন পদ্ধতির প্রতি ঝুঁকে পড়ে শুল্ক বিভাগ। এখানে বিদেশি ভেন্ডরদের বাংলাদেশে এই কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে এবং তাদের কর্মকান্ডে যথেষ্ট অস্পষ্টতা ও অনিয়ম এখানে যুগলবন্দি হয়ে ওঠে। পিএসআই কোম্পানিগুলোর দায়িত্বহীনতা ও দুর্নীতির মহড়া দেখা যায়।

এন বি আরের লোকবল ও কর্মপদ্ধতির উন্নয়ন অভীপ্সায় বিশেষ করে ভ্যালুয়েশন এবং শুল্কায়নে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি প্রয়োগের লক্ষ্যে বিশ্বব্যাংক , আই এম এফ এবং ডিএফআইডির অর্থায়ণে বেশ কয়েকটি গুচ্ছ প্রকল্প ( যেমন কাস্টমস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন মডার্নাইজেশন বা ক্যাম; এক্সাইজ, কাস্টমস , ট্যাক্সেশন ( ইটাক) ডাটা কমপিউটারাইজেশন ;) বাস্তবয়নের মহড়া শুরু হয় এ দশকেই। এসব প্রকল্প মেয়াদান্তে শেষ হলেও তাদের রেখে যাওয়া সুপারিশ, প্রবর্তিত পদ্ধতি সফ্টওয়ার প্রয়োগ বাস্তবায়ন ফলাবর্তনে সব সময় সক্রিয়তা লক্ষ করা যায়নি। বিশ্বব্যাংক এবং আইএমএফ রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় সংস্কার আনার লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি কর্মসূচি ও স্ট্রাকচারাল রিফমর্স প্রোগ্রামের মধ্যে শর্ত (ট্রিগার) আরোপ করে তার বাস্তবায়নে চাপ দিয়েছে। বিশ্বব্যাংক আইএমএফ বিশেষজ্ঞদের সুপারিশ অনুসরনে ও ধারাবাহিকতা রক্ষা করা যায়নি।

এটা লক্ষ্যণীয় নব্বইয়ের দশকে অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রসার প্রত্যক্ষ করা গেলেও তার সাথে সামঞ্জস্য রেখে রাজস্ব আহরণকারী দপ্তর এনবিআরের সক্ষমতা ও দক্ষতা সমহারে বাড়েনি বা বাড়ানো হয়নি। অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা সংযুক্ত হলেও তার সঙ্গে বিদ্যমান রাজস্ব আইনগুলোকে যুগোপযোগীকরণের কাজে প্রত্যাশিত মনোযোগ ও তৎপরতা একই সমতলে লক্ষ করা যায়নি।

বরাবরই সীমিত লোকবল ও সীমাবদ্ধ খাত ক্ষেত্র থেকে রাজস্ব আহরণে নিবদ্ধ থাকতে হয়েছে এনবিআরকে। একই সাঙ্গে উদীয়মান শিল্পকে সুরক্ষা দেওয়ার নাম করে, বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্টকরণের উপায় ও উপলক্ষ হিসেবে ব্যাপকভাবে কর অবকাশ ও কর রেয়াত দেওয়ার মহড়ায় কাঙ্ক্ষিত ও বাঞ্ছিত কর রাজস্ব আহরণ বাড়েনি। বরং এসব উদ্যোগে করের খাত ক্ষেত্র বিস্তৃতির পরিবর্তে সংকোচিত হয়েছে ।

যে কোন উদীয়মান অর্থনীতিতে শিল্প উৎপাদন বানিজ্য বিনিয়োগ বিবরে সুরক্ষার নামে প্রথম পর্যায়ে প্রণোদনা ও কর রেয়াত প্রদানের চাপ থাকে, থাকলেও একই সাথে উদীয়মান করদাতাকে কর জালের মধ্যে আনার উদ্যোগে তেমন মনোযোগ যথাসময়ে আরোপিত না হওয়া বা এ ব্যাপারে ব্যর্থতা বা অপারগ পরিস্থিতি বাংলাদেশে রাজস্ব আহরণ ব্যবস্থাপনায় নেতিবাচক আবহ সৃষ্টি হয়েছে। এনবিআর এর সক্ষমতা সেকারণে না বাড়নোর ফলে প্রত্যক্ষ কর আহরণ ব্যবস্থাপনা জোরদার হয়নি যা পরবর্তীকালে পরোক্ষ করের অগ্রগতি সত্ত্বেও সমতালে বৃদ্ধি পায়নি এবং যা এখনো একমাত্র বাংলাদেশে ব্যতিক্রম, প্রত্যক্ষ কর থেকে অর্জন পরোক্ষ করের তুলনায় কম। ফলে দেশের কর জিডিপি রেশিও সামাঞ্জস্যতায় আনয়নে, সমন্বয়সাধনের মাধ্যমে অগ্রগতির পথে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ : সরকারের সাবেক সচিব, সাবেক চেয়ারম্যান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড

[ নিবন্ধ, সাক্ষাৎকার, প্রতিক্রিয়া প্রভৃতিতে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। দৈনিক কালবেলার সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে নিবন্ধ ও সাক্ষাৎকারে প্রকাশিত মত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ, তথ্য-উপাত্ত, রাজনৈতিক, আইনগতসহ যাবতীয় বিষয়ের দায়ভার লেখকের, দৈনিক কালবেলা কর্তৃপক্ষের নয়। ]
কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ঝালকাঠিতে গভীর নলকূপে পানির সংকট

ব্যাট-বলে সাকিবকে শরীফুলের টেক্কা

দেশকে আগের মতো ভিক্ষুকের জাতি বানাতেই এমন সহিংসতা: প্রধানমন্ত্রী

রাজবাড়ীতে ভাড়ায়চালিত বাইকারের বিরুদ্ধে যাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ

সরবরাহ সচল হওয়ায় স্বস্তি ফিরছে ব্রাহ্মণপাড়ার সবজি বাজারে

আজ কোন এলাকায় কত ঘণ্টা কারফিউ শিথিল

রিয়ালের জার্সিতে কবে মাঠে নামছেন এমবাপ্পে?

স্বেচ্ছায় কারাগারে যাচ্ছেন ফিলিস্তিনি শরণার্থীরা

অলিম্পিকে পদকের লড়াই হবে যে ইভেন্টগুলোতে (২৭ জুলাই)

দক্ষিণ আমেরিকা নিয়ে নতুন ছক সৌদির

১০

রাশিয়ার সাবেক উপপ্রতিরক্ষা মন্ত্রী গ্রেপ্তার

১১

ইসরায়েল-সৌদি সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে?

১২

মানামার বাতাসে দূষণ সবচেয়ে বেশি, ঢাকার পরিস্থিতি কী

১৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার বর্জ্যে দুর্ভোগে ৩ লাখ মানুষ

১৪

স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

১৫

অলিম্পিকে নিষিদ্ধ ছিল যে দেশগুলো

১৬

দুপুরের মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের শঙ্কা

১৭

উদ্বোধনীতে অ্যাথলেটদের চেয়ে বেশি উৎফুল্ল বাংলাদেশের কর্তারা

১৮

কুষ্টিয়ায় নাশকতা মামলায় আ.লীগ নেতার ছেলে গ্রেপ্তার

১৯

৬ দিন পর বরিশাল-ঢাকা রুটে লঞ্চ চলাচল শুরু

২০
X