রাজনীতিবিদ এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রতিপক্ষ না বানাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন।
শনিবার (২৪ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘অগ্নিসেনা সোশাল ফাউন্ডেশন’ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় জাহিদ হোসেন এসব কথা বলেন।
তিনি বলেছেন, বিএনপি মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্ব সফল হবে। মানুষ তাদের পেছনে আছে। কিন্তু তাকে যারা বিভিন্নভাবে বিতর্কিত করার চেষ্টা করেন, এখনও সময় আছে- লাগাম টেনে ধরুন। রাজনীতিবিদ এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রতিপক্ষ বানানোর চেষ্টা করবেন না।
উপদেষ্টাদের উদ্দেশে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, আপনারা যা ইচ্ছে করছেন। মনে হচ্ছে, এটা আপনাদের পৈতৃক সম্পত্তি। বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে কে যাবে, আসবে- আপনারা সিদ্ধান্ত নেবেন; মনে হচ্ছে জনগণের কোনো দায় নেই। যেমনটা পতিত স্বৈরাচার করত। কিন্তু আপনারা এসবের দায় ইউনূস স্যারের ঘাড়ে চাপাচ্ছেন। ড. ইউনূসকে বিতর্কিত করার জন্য উপদেষ্টা কাউন্সিলের অনেক সদস্য জড়িত।
তিনি আরও বলেন, অতীতকে ভুলে যাবেন না। প্রথমে বয়ান দেওয়ার চেষ্টা করলেন, ৩৬ জুলাই বা ৫ আগস্ট- এটি নাকি দ্বিতীয় জন্ম। এসব কথা বলার চেষ্টা করলেন- কিন্তু ’৪৭ যদি না হতো, ’৭১ পেতেন না; ’৭১ না হলে ’২৪ হতো কিনা বিরাট প্রশ্ন। কাজেই ইতিহাসের ধারাবাহিকতাকে অস্বীকার করার চেষ্টা করবেন না। যার যতটুকু অবদান, সেটাকে স্বীকার করার মধ্যেই সত্যিকারের বীরত্ব আছে। আপনারা যে দেশের ভালো চান, সেটি প্রমাণ করেন। আর যদি এককভাবে কিছু করেন, পতিত স্বৈরাচার সরকারের মতো অবস্থা আপনাদেরও হতে পারে।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উদ্দেশ্যে জাহিদ হোসেন বলেন, আপনারা আইন-আদালতকে বিশ্বাস করেন না। আইন-আদালত যখন আপনাদের পক্ষে থাকে, তখন আপনারা খুশি। আর যখন বিপক্ষে যায়, তখন ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। এগুলো তো শেখ হাসিনার মানসিকতা। সবসময় আন্দোলন-সংগ্রামে ছাত্র-জনতা মাঠে থাকে। তারপরে দেশের জনগণ সিদ্ধান্ত নেয়, কাদের দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেবেন। কিন্তু এখানে এটা উল্টো হয়েছে। আপনারা নিজেদের ট্যাগ ধরে ফেলেছেন। আপনারা সব কৃতিত্ব নিজেদের দাবি করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আমাদের গর্ব। জুলাই-আগস্টে তারা সেটি প্রমাণ করেছে। সুতরাং সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করতে গেলে নিজেরাই বিতর্কিত হয়ে যাবেন।
সংগঠনের চেয়ারম্যান তালুকদার জহিরুল হক তুহিনের সভাপতিত্বে এতে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীনসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন।
মন্তব্য করুন