মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২
কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৩ জুন ২০২৫, ০৮:২০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

সরকারি অফিস সচলে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে : ইসলামী আন্দোলন

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের লোগো। ছবি : কালবেলা গ্রাফিক্স
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের লোগো। ছবি : কালবেলা গ্রাফিক্স

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ইউনুস আহমেদ বলেছেন, রাজস্ব খাত ও সচিবালয়সহ সরকারি অফিসে যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে তা নজিরবিহীন। জনপ্রশাসনের এমন অচলাবস্থা রাষ্ট্রের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। এজন্য এসব সরকারি অফিস সচলে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

সোমবার (২৩ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব বলেছেন, বাংলাদেশের আর্থসামাজিক বাস্তবতায় সবচেয়ে স্বাচ্ছন্দ্য ও নিরাপদ জীবন-যাপন করেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বাংলাদেশের যত উন্নতি তার জন্য সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবদান অবশ্য স্বীকার্য।

তিনি বলেন, একইসঙ্গে বাংলাদেশের জনপ্রশাসন নিয়ে মানুষের অভিযোগেরও সীমা নাই। জুলাই অভ্যুত্থানের পরে সামগ্রিক সংস্কারের অংশ হিসেবে রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় ও সরকারি চাকরীবিধিতে সংস্কার আনা হয়েছে। যে কোনো পরিবর্তন এক ধরনের অস্থিরতা তৈরি করে। সেই অস্থিরতা দূর করার জন্য আলোচনা উত্তম পন্থা। বিশেষ করে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য আলোচনাই একমাত্র পন্থা।

তিনি আরও বলেন, কিন্তু রাজস্ব খাতের সংস্কার ও চাকরিবিধির পরে রাজস্ব খাত ও সচিবালয়সহ সরকারি অফিসে যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে তা নজিরবিহীন। একটি আধুনিক ও কার্যকর রাষ্ট্রে জনপ্রশাসনে এমন অচলাবস্থা রাষ্ট্রের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।

ইউনুস আহমেদ বলেন, সরকারি চাকরি নৈর্ব্যক্তিক। রাষ্ট্র পরিচালনা করতে গেলে জনপ্রশাসনের নৈর্ব্যক্তিক হওয়াই বাঞ্ছনীয়। রাষ্ট্রের স্বার্থে সরকারি চাকরিজীবীদের এমন অনেক ক্ষেত্রেই সীমিত মাত্রায় অবস্থান করতে হয় যা একজন সাধারণ নাগরিকের জন্য মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃত। একজন সরকারি চাকরিজীবী নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন না, দলীয় রাজনীতি করতে পারেন না। একইভাবে তারা কোনো দাবি আদায়ে বিক্ষোভ বা অচলাবস্থা তৈরি করতে পারেন না।

তিনি বলেন, আধুনিক ব্যবস্থাপনা দক্ষতা ও ফলাফল নির্ভর। এই মৌলিক নীতিকে সামনে রেখে চাকরীবিধি সংস্কার করা হয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশে জিডিপি-কর অনুপাত খুবই খারাপ অবস্থায়। সেটা উন্নত করার জন্য রাজস্বখাতের সংস্কার অপরিহার্য ছিল। সংস্কারে কারো কারো দ্বিমত থাকতে পারে কিন্তু কর্মবিরতি দিয়ে জনগণকে জিম্মি করা কোনোভাবে সমর্থনযোগ্য না। নৈতিকভাবেও তা বৈধ না। কারণ কর্মবিরতির সময়ের বেতন কি তারা প্রত্যাখ্যান করবেন? যদি না করেন তাহলে জনগণের টাকা বেতন নিয়ে জনগণকে জিম্মি করা কীভাবে নৈতিক হয়। বৈতনিক বিক্ষোভের নজীর কোথায় আছে? রাষ্ট্রকে কার্যকর ও সক্রিয় রাখতে দ্রুততার সাথে ব্যবস্থা নিতে হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কাতারে হামলার পর ৬ দেশের প্রতিক্রিয়া

মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের হামলা, হতাহতের বিষয়ে যা জানাল পেন্টাগন

কাতারে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা নিয়ে যা বলল সৌদি আরব

আইএমএফের ঋণ অনুমোদন, আসবে ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার

আজকের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চায় ইসরায়েল, খামেনির সম্মতির অপেক্ষা

কাতারে মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের হামলার কথা স্বীকার করল যুক্তরাষ্ট্র

কাতারকে জানিয়ে হামলা করেছে ইরান

উসকানি দিলে আরও হামলা চালাবে ইরান

আকাশসীমা বন্ধ করায় ঢাকা থেকে ৪ দেশে ফ্লাইট বন্ধ ঘোষণা 

আশাশুনি সরকারি কলেজ ছাত্রদলের কমিটিতে ছাত্রলীগ কর্মী

১০

কিশোরগঞ্জের ছেলের হাতে প্রাণ গেল বাবার

১১

কাতারে ইরানের হামলা প্রতিশোধের সূচনা মাত্র

১২

হেডেংলি টেস্টে ইংলিশদের ৩৭১ রানের লক্ষ্য দিল ভারত

১৩

টিটেনাস উপসর্গ শনাক্ত, রমেক আইসিইউ থেকে রোগী স্থানান্তর

১৪

মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার পর কাতারকে যে বার্তা দিল ইরান

১৫

‎জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় রঙ্গভূমির নেতৃত্বে তাকরিম-নওমী

১৬

জামালপুরে বিএনপি অফিসে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপার চেষ্টা, গ্রেপ্তার ৩

১৭

মার্কিন বিমান ঘাঁটিতে ইরানের হামলা, প্রতিক্রিয়া জানাল কাতার

১৮

রাবির গবেষণা / এবার লবণ ছাড়াই সংরক্ষণ করা যাবে পশুর চামড়া

১৯

ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল কাতার

২০
X