খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেছেন, হত্যা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও দখলবাজি রাজনীতির কারণে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ হতে হয়েছে, ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়েছে। তাই আধিপত্যবাদী ও চাঁদাবাজদের সাবধান হয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, জনগণ আগের মতো নিপীড়ন মুখ বুঝে আর সহ্য করবে না। দেশপ্রেমিক ইসলামী শক্তি ঐক্যবদ্ধ আছে। আমরা সকলের মধ্যে সুস্থ রাজনীতির চর্চা দেখতে চাই।
শনিবার (১২ জুলাই) রাজধানীর মিটফোর্ডে বীভৎস খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে খেলাফত মজলিসের প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেন, রাজধানীর মিটফোর্ডে যে লোমহর্ষক ও বীভৎস হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে তা জাহেলি যুগের বর্বরতাকে হার মানিয়েছে। একজন জীবন্ত মানুষকে প্রকাশ্য দিবালোকে তিলে তিলে আঘাত করে হত্যা করা হচ্ছে, আর লোকজন দাঁড়িয়ে তা দেখছে। সন্ত্রাসীদের হাতে কোনো মারণাস্ত্র না থাকলেও নির্মম ঘটনায় কেউ বাধা দিতে এগিয়ে আসেনি। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।
তিনি আরও বলেন, ঘাতক যতই প্রভাবশালী হোক দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। হত্যাকাণ্ড পরবর্তীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্লিপ্ত ভূমিকা হতাশাজনক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘটনাটি ভাইরাল হওয়ার দুদিন পর প্রশাসনের টনক নড়ে। ইতোমধ্যে মূল অপরাধীদের বাদ দিয়ে মামলার অভিযোগ এসেছে। যৌথ বাহিনীর টহল চললেও এখন দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির দিকে। এভাবে একটি দেশ চলতে পারে না।
খেলাফত মজলিসের মহাসচিব বলেন, ঘাতক ও নিহত ব্যক্তি উভয়েই স্থানীয় যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয় উঠে এসেছে। এভাবে গত প্রায় এক বছর নিজেদের অন্তর্দ্বন্দ্বে বিএনপিসহ তাদের অঙ্গ সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মী প্রাণ হারিয়েছে। আহত ও জখম হয়েছে অসংখ্য সাধারণ মানুষ। ৫ আগস্ট পরবর্তী নতুন বাংলাদেশে তা কখনো মেনে নেওয়া যায় না।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনের রাস্তায় আজিজুল হকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেনের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নায়েবে আমির আহমদ আলী কাসেমী, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান, আইনবিষয়ক সম্পাদক শায়খুল ইসলাম, ঢাকা মহানগরী উত্তর সভাপতি সাইফুদ্দিন আহমদ খন্দকার, ইসলামী ছাত্র মজলিসের সভাপতি রায়হান আলী।
আরও বক্তব্য রাখেন- ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নূরুল হক, মাওলানা ফারুক আহমদ ভূঁইয়া, আমির আলী হাওলাদার, শ্রমিক মজলিসের এইচএম এরশাদ, খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কাজী আরিফুর রহমান, মুন্সি মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, মাওলানা সরদার নেয়ামত উল্লাহ, মুহাম্মদ সেলিম হোসাইন।
মন্তব্য করুন