জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সিনিয়র সহসভাপতি ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের উপদেষ্টা মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী বলেছেন, ইদানীং দেশে হত্যা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও দখলদারি বেশ বেড়ে গেছে। এর সঙ্গে কোনো কোনো দলের নামও জাতির সম্মুখে আসতে শুরু করেছে। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সরকারের দায়বদ্ধতা আছে।
রোববার (১৩ জুলাই) এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
ইউসুফী বলেন, বিভিন্ন দলের নাম কিছু কিছু মিডিয়ায় এলেও তারা এখন পর্যন্ত স্বীকার করতে প্রস্তুত নন বলে মনে হচ্ছে। কিন্তু বিএনপি ইতোমধ্যে তাদের দল থেকে কিছু লোককে বহিষ্কার করেছে। এতে এসব কাজের সঙ্গে তাদের দলের লোকদের সম্পৃক্ততা থাকার বিষয়টি স্পষ্ট এবং পরোক্ষভাবে তারা এর দায় স্বীকার করে নিয়েছে। এসব কালপ্রিটদের বিরুদ্ধে দলীয় সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ না জানিয়ে পারছি না। তবে এতটুকুই যথেষ্ট নয়, বরং এর মূল গডফাদার কারা সেটা চিহ্নিত করতে না পারলে এবং এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে না পারলে সমস্যার সমাধান হবে না।
তিনি বলেন, শুধু তাই নয়, দলের নেতাকর্মীদের মানবতার তালিম না দিয়ে শুধু বহিষ্কার প্রক্রিয়া যথেষ্ট হবে না। এজন্য উপজেলা, ওয়ার্ড, ইউনিয়ন পর্যায়ে মোটিভেশন চালাতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমার পরামর্শগুলো বিএনপির কল্যাণে দিচ্ছি না বরং জাতির স্বার্থে দিচ্ছি। কারণ বিএনপি এখনো একটি বড় দল। এর নেতাকর্মীদের এভাবে চরিত্রহীনতা হলে জাতির কপালে দুর্ভোগ নেমে আসবে। ইতোমধ্যে মাঠ পর্যায়ে বিএনপির প্রতি জনতার ক্ষোভ বেড়ে চলেছে। নির্বাচন পেছানোর দাবির পেছনে এ উদ্দেশ্যটি একটি বড় গ্রাউন্ড। এও অসম্ভব নয় যে, আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের মতো আপনাদের বিরুদ্ধেও জাতিকে আবার মাঠে নামতে হবে। তখন সেই পলাতক শক্তি আবারও মাথাচড়া দিয়ে উঠতে পারে। আর ক্ষমতার আকাঙ্ক্ষা এমনই একটি বিষয়, নিজেদের স্বার্থে যে কেউ সেই পরাজিত শক্তিকে ইন্ধন দিতে পারে।
ইউসুফী বলেন, কোনো কোনো মিডিয়ায় সরকারের এজেন্সিগুলোর দিকেও ইঙ্গিত করছে, যা অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতার দিকে ইঙ্গিত করে। এর পেছনে বিশেষ কোনো উদ্দেশ্য তো অবশ্যই থাকবে। যাহোক, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সরকারের দায়বদ্ধতা আছে। এর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। দ্রুত নির্বাচন দিয়ে মানসম্মান নিয়ে চলে যাওয়াই শ্রেয়।
মন্তব্য করুন