বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ভোট গণনা সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন নিয়ে জনমনে শঙ্কা বিরাজ করবে। এখনো গণতন্ত্র নাগালের বাইরে। আমরা বিশ্বাস করতে চাই যে নির্বাচন হবে। তবে ভোট গণনার আগ পর্যন্ত তা নিয়ে শঙ্কা থেকে যাবে।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ৮১তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
নেতাকর্মীদের সতর্ক করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ষড়যন্ত্র চলছে, তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে এবং কোনো প্রকার ফাঁদে পা দেওয়া যাবে না।
বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক ভূমিকা তুলে ধরে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া শুধু বিএনপির চেয়ারপারসন নন, তিনি জাতির অভিভাবকও। গণতন্ত্রের জন্য তিনি অবিরাম লড়ে যাচ্ছেন। ব্যক্তিগতভাবে তিনি কখনো জন্মদিন উদযাপন করতেন না; দলের পক্ষ থেকেই এ আয়োজন করা হতো।
এদিকে প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে বাংলাদেশ কর্মজীবী দল কর্তৃক আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে ব্যর্থ হলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের নাম ইতিহাসে কলঙ্কজনকভাবে লেখা থাকবে।
নির্বাচন নিয়ে কেউ ষড়যন্ত্র করলে বিএনপি নয়, জনগণ তাদেরকে প্রতিহত করবে এমন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, জনগণের বহু আকাঙ্ক্ষার নির্বাচন নিয়ে নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। ৫ আগস্ট এ দেশের ছাত্র-জনতা জীবন দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করেছে। তাদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে কেউ যদি নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করে তাদের রুখে দিবে দেশের জনগণ।
তিনি বলেন, ভোটাধিকার প্রয়োগ করার জন্য এদেশের মানুষ ১৬ বছর ধরে অপেক্ষা করছে। কিন্তু ’৭১ বিরোধীরা ষড়যন্ত্র করে পিআর পদ্ধতিতে ভোট চাচ্ছে। যদি এই দেশে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হয় তাহলে আল্লাহ ছাড়া কেউ ধানের শীষকে রুখতে পারবে না। ড. ইউনূস সম্মানিত লোক সারা বিশ্বে তার সুনাম রয়েছে কিন্তু তিনি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে ব্যর্থ হলে ইতিহাসে তার নাম কলঙ্কজনকভাবে লেখা থাকবে।
জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, যারা বুকের রক্ত দিয়ে দেশের স্বাধীনতা এনেছে, তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করলে দেশের মানুষ সেটা রুখে দেবে। এই দেশটা এখন জনগণের। এটা এখন আর হাসিনার বাংলাদেশ নয়। এখন বিচারকের আদালতে আর লাথি মারা হবে না। আমার ভোট এখন আমিই দিব, সে ভোটের জন্য আমরা আত্মাহুতি দিয়েছি। এই ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য ১৬টি বছর অপেক্ষা করেছি। এখন যদি কেউ সেই ভোটাধিকার হরণ করতে চায়, তাহলে তার জবাব আপনারাই দিবেন। যদি এই দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, আল্লাহ ছাড়া কেউ ধানের শীষকে রুখতে পারবে না।
মন্তব্য করুন