কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:৪০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

নুরাল পাগলার মরদেহ পোড়ানোর ঘটনায় হেফাজতে ইসলামের বিবৃতি

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের লোগো। ছবি : কালবেলা গ্রাফিক্স
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের লোগো। ছবি : কালবেলা গ্রাফিক্স

রাজবাড়ীতে নুরাল পাগলার মরদেহ কবর থেকে তুলে পোড়ানোকে নিন্দনীয় ও অগ্রহণযোগ্য উল্লেখ করে ক্ষুব্ধ ধর্মপ্রাণ মুসলিম জনতার ধর্মীয় অনুভূতি রক্ষায় স্থানীয় প্রশাসন চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা সাজেদুর রহমান।

শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সরকারকে আরও কঠোর হওয়ার আহ্বানও জানান। বিবৃতিতে তারা বলেন, কাবার আদলে ১২ ফুট উঁচু ‘নুরাল পাগলার’ মাজার ও বেদি নির্মাণ, নিজেকে ইমাম মাহদী দাবি ও নিজস্ব কালেমার প্রচলন ইত্যাদি শরিয়তবিরোধী কর্মকাণ্ড নিয়ে অনেক দিন ধরে রাজবাড়ীর স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ক্ষুব্ধ ছিলেন। নুরাল পাগলার পরিবারকে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা নানাভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেও বিফল হন। এমনকি নুরাল পাগলার এসব অপকর্ম রোধে একাধিকবার স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে তারা বৈঠক করে স্মারকলিপি দেন এবং প্রয়োজনে সংবাদ সম্মেলনও করেন। এতে তাদের ধৈর্যের পরিচয় পাওয়া গেলেও প্রশাসনের অসহযোগিতার কারণে একপর্যায়ে ক্ষুব্ধ স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসলিম জনতা নুরাল পাগলার কথিত কাবার আদলে তৈরি কবর ভেঙে মরদেহ তুলে পুড়িয়ে দেয়। তারা বলেন, ইসলামে মরদেহ পোড়ানো নিষিদ্ধ। এটি মানবিক মর্যাদার প্রশ্ন। ইসলাম-প্রদত্ত এ মর্যাদা কেড়ে নেওয়ার অধিকার কারও নেই। ফলে নুরাল পাগলার মরদেহ পোড়ানো নিন্দনীয় ও অগ্রহণযোগ্য কাজ। একটি অন্যায় রোধ করতে গিয়ে আরেকটি অন্যায় করার সুযোগ নেই। তবে আমরা মনে করি, রাজবাড়ীতে স্থানীয় প্রশাসন সেখানকার দল-মত নির্বিশেষে ক্ষুব্ধ ধর্মপ্রাণ মুসলিম জনতার ধর্মীয় অনুভূতি রক্ষায় চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। প্রশাসন নুরাল পাগলার ব্যাপারে যথাসময়ে পদক্ষেপ নেয়নি বলেই এমন সহিংস পরিস্থিতি তৈরি হতে পেরেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আমরা সরকার আরও কঠোর হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

তারা আরও বলেন, আমরা লক্ষ করেছি, সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় অনুভূতি রক্ষার ক্ষেত্রে সরকার ও প্রশাসন প্রায়ই করিৎকর্মার পরিচয় দেয়। বাম ও প্রগতিশীল ঘরানাও খুবই সরব থাকে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত এলে তাদের সবসময় নিষ্ক্রিয় ও নীরব দেখা যায়। এই বৈষম্য ইসলামবিদ্বেষ প্রসূত বলে আমরা মনে করি। এমনকি এক শ্রেণির বাম ও প্রগতিশীলদের নৈতিক সমর্থনের কারণে তাদের ঘরানার কেউ কেউ বিভিন্ন সময় আল্লাহ ও রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নামে কটূক্তি ও বিষোদ্গার করার দুঃসাহসও দেখিয়েছে। কিন্তু শত প্রতিবাদেও তাদের কোনো বিচার হয়নি। এই দীর্ঘ অবিচারের সংকট নিরসনে সরকার এবং একইসঙ্গে বাম-প্রগতিশীল ঘরানার মুরুব্বিদেরও এগিয়ে আসতে হবে। দায়িত্ব শুধু আলেমদেরই নয়; তাদেরও রয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আ.লীগের ঝটিকা মিছিলের আয়োজক সুইটি গ্রেপ্তার

আ.লীগ-জাপা চোরে চোরে মাসতুতো ভাই : সারজিস

তিন দিনের হরতাল ডাকলো বিএনপি-জামায়াতসহ সর্বদলীয় কমিটি

বিসিবি নির্বাচনের আগে বুলবুলের পদত্যাগ চান তামিম

শাহরুখ-রণবীরের সিনেমার ডিওপি যুক্ত হলেন শাকিবের সিনেমায়

জাকসু নির্বাচনে ভিপি পদপ্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল

নুরাল পাগলার বাড়িতে পুলিশ মোতায়েন

ডাকসু নির্বাচন / ছাত্রদলের প্যানেলের প্রার্থীদের শপথ রোববার

সেনাবাহিনীতে অসামরিক পদে বড় নিয়োগ, আবেদন করুন দ্রুত

লালনের আখড়ায় পুলিশ মোতায়েন

১০

ওসি-এসআইয়ের অর্থ আত্মসাতের অডিও ফাঁস

১১

বার্সেলোনায় রাশফোর্ডের স্বপ্ন কি শেষ হতে চলল?

১২

লিভারপুল ও পিএসজির সঙ্গে হায়ারের গ্লোবাল পার্টনারশিপ ঘোষণা

১৩

কাঁচা পেঁয়াজ-রসুন খাওয়া কি হারাম, যা বলছে হাদিস

১৪

অভাবের সংসারে নিরাপত্তাকর্মীর চাকরি করেন ক্রিকেটার নাসুমের বাবা

১৫

উত্তর কোরিয়ায় যেভাবে ব্যর্থ হয় ‘সিল টিম ৬’-এর গোপন মার্কিন অভিযান

১৬

নিখোঁজ যুবকের মরদেহ মিলল হলুদ ক্ষেতে

১৭

অ্যাম্বুলেন্সে নারীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ, যুবক গ্রেপ্তার

১৮

মুসলিম জনতার ধর্মীয় অনুভূতি রক্ষায় প্রশাসনের ব্যর্থতা উদ্বেগজনক

১৯

নেপালের বিপক্ষে জিততে পারল না বাংলাদেশ

২০
X